প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা তানোরে মাঠে রোপা ধানের সোনালী ঝিলিক

তানোরে মাঠে রোপা ধানের সোনালী ঝিলিক

444
0

তানোর থেকে সাইদ সাজু : রাজশাহীর তানোর উপজেলার মাঠে মাঠে রোপা আমনের ধানে সোনালী ঝিলিকে কৃষকের মুখে হাসি। তানোর উপজেলা দিগন্ত জুড়ে রোপা আমন ধানের মাঠে মাঠে এখন শীতের আগমনীর হিমেল হাওয়ায় দুলছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী রঙ্গের রোপা আমন ধান। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পুরো দমে শুরু হবে রোপা আমন কাটা ও মাড়াই। রোপা আমন ধান ঘরে তোলায় প্রস্তুতিতে ব্যাস্থ্য সময় পার করছেন কৃষান কৃষানীরা।

তানোরে মাঠের ধানে সোনালী রং ধানের সাথে সাথে কৃষকরাও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন স্বপে¦র সেই ফসল ঘরে তোলার। অন্য বছর গুলোতে কৃষকরা ধানের দামে তেমন খুশি না হলেও এবছর দাম ভালো থাকায় এবং বাম্পার ফলনের আশায় চোখে মুখে খুশির ঝিলিক ও উৎফুল্লতা নিয়ে কৃষান কৃষানীরা বাড়ির আংগীনা ও আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন।

কৃষকরা বলছেন, এবছর আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবং বৃষ্টির ঘাটতি না থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে, সেই সাথে বর্তমানে বাজারে ধানের যে দাম রয়েছে তাতে লাভ হবে কৃষকদের। অতীতের যে কোন বছরের চেয়ে এবছর কৃষকরা অধিক ফলন পাবে বলে আশা করছেন। ফলে, কৃষকরা খুশি মনে রোপা আমন ধান ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কৃষকরা আরো বলছেন, ধানে পাক ধরার সাথে সাথে ইঁদুরের উপদ্রব শুরু হয়েছে, এর আগে বিভিন্ন পোকা মাকড় দমনে কীটনাশক ব্যাবহার করতে হয়েছে, বর্তমানে কারেন্ট পোকা ও পচন রোধে ধানে কীটনাশক ব্যবহার করার পাশাপাশি ইঁদুরের উপদ্রব ইঁদুর মারার ব্যবস্থাও করতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে আমন চাষে খরচ বাড়লেও ফলন ও দামে পুষিয়ে যাবে।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলায় এবার আমন আবাদের লক্ষমাত্রা ছিল ২২,৪৩৫ হেক্টর। এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ২২,৩৮৭হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উপশী জাত ২১,৪২৫ হেক্টর, সুগন্ধি জাত ৯৫০ হেক্টর, এবং হাইব্রিড জাত আছে ১২ হেক্টর জমিতে।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলাম বলেন, এবার রোপা আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় শতভাগ জমিতে লাইভ পার্চিং করা হয়েছে। তিনি বলেন এছাড়া প্রায় ৯০ ভাগ জমিতে সঠিক বয়সের চারা রোপন করা হয়েছে। এবং প্রায় ৮০ ভাগ জমির ধান সারিতে রোপণ করা আছে।

তিনি আরো বলেন এ বছর উপজেলার আমন আবাদের লক্ষমাত্রা অর্জন হয়েছে। মাঠে ফসলের সার্বিক অবস্থা ভালো, মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নিয়মিত কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ প্রদান করছের, এছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কৃষক সমাবেশ, উঠান বৈঠক, ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান রয়েছে, ফলে এবার রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।