আব্দুল খালেক:
রাজশাহীর গোদাগাড়ী ডাইংপাড়া বাজারে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। উপজেলার ডাইংপাড়া, মহিশালবাড়ী, সুলতানগঞ্জ, প্রেমতলী, রাজাবাড়ীহাট, কাকনহাট, বিদিরপুর ঘুরে জানা যায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। মধ্যম আয়ের মানুষেরা বাজার করতে এসে বিড়ম্বনায় পড়ছে। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন গার্মেন্টসের দোকানগুলোতে জামা-কাপড়ের দাম হাঁকা হচ্ছে অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে দ্বিগুণ।
ডাইংপাড়ার টিএন্ডটি ফ্যাশানের জিএম মামুনুর রশিদ জানান মেয়েদের গ্রাউন ৯শ-১৫হাজার, ত্রি-পিস ৩শ-৭ হাজার, শাড়ী ৩৫০-২৫ হাজার, বোরকা ৪শ-২২শ, ছেলেদের প্যান্ট ৩শ- ৫ হাজার, পাঞ্জাবী ৩শ-২২শ, শার্ট ২৫০-১৫শ, শিশুদের আইটেম ১৫০-২২শ টাকা পর্যন্ত। পদ্মা গার্মেন্টস এর মালিক শরিফুল ইসলাম জানান মেয়েদের গ্রাউন্ড বেশি চলছে দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ৭শ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত, ছেলেদের প্যান্ট-শার্ট, পঞ্জাবী বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেচা-বিক্রি কম।
অপর দিকে দর্জির দোকানদার আওয়াল বলেন শার্টের মজুরী ২৮০, প্যান্ট ৩৮০টাকা করে। দোকানগুলোতে এখন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত কোন প্রকার অর্ডার নেয়া হচ্ছে না। যে কাজের অর্ডার পড়েছে সেগুলো ঠিকমত তৈরি করে সরবরাহ করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে দর্জিদের।
কসমেটিক্স এর দোকানেও একই রকম মেয়েদের ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে ক্রেতারা বলছে অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি।
এদিকে সবজির বাজারে লেগেছে আগুণ। এক কেজি শষার দাম ৫০/৬০ টাকা। পটোল ১৫ টাকা কেজি, সজনে ৬০-৮০ টাকা কেজি। পাকা কলা ১৫-৩৫ টাকা হালি, আদা ১৫০ কেজি, আলু ১৫ কেজি, করলা ৩০ টাকা। ক্রেতারা বলছে বাজার মনিটরিং না থাকায় প্রয়োজনীয় পণের দাম দ্বিগুণ ধরা হচ্ছে। ডাইংপাড়া বাজারে আহসান নামের একজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান এ বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি। এর পার্শ্ববর্তী রেল বাজার কিংবা হাটপাড়াতে এখানকার চেয়ে অর্ধেক দাম। ডাইংপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা পারে না যে, মানুষের পকেট থেকে টাকা কেড়ে নেয়। ব্যবসায়ীদের মুখে হাঁসিমাখা সৌজন্যবোধ টুকু দেখা যায়না। চরবয়্যারমারী গ্রামের বাজার করতে আসা রণি নামক একজনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান একমন ধান বেচে একটি প্যান্ট পাওয়া যায়না। তাহলে আমরা কৃষকরা কিভাবে ঈদ পার করব?
কেল্লাবারুইপাড়া গ্রামের গোলেনুর নামের ৫০ শোর্ধ এক মহিলা বলেন হামার আবার ঈদ বাবা। হামরা কিভাবে ঈদ করব, বাজার করার টাকা নাই। মানুষের সাহায্যই হামার শেষ ভরসা।