প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা ঠাকুরগাঁওয়ে সম্ভাবনাময় অর্থকরী স্টিভিয়ার চাষ হচ্ছে চিনির বিকল্প হিসেবে

ঠাকুরগাঁওয়ে সম্ভাবনাময় অর্থকরী স্টিভিয়ার চাষ হচ্ছে চিনির বিকল্প হিসেবে

348
0
ফিরোজ সুলতান, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : আখের চিনি,বিটের চিনি ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাবার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ খাকলেও ক্যালোরি না থাকায় খেতে বাঁধা নেই স্টিভিয়ার উৎপাদিত মিষ্টি খাবারে। তাই চিনির বিকল্প হিসেবে ক্যালোরিবিহীন ও চিনির চেয়েও অধিক মিষ্টি স্টেভিয়ার চাষ হচ্ছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে।

১১টি ঔষধি গুনাগুন এবং ডায়াবেটিস রোগীদের চা তৈরির স্টিভিয়া প্রজাতির প্রাকৃতিক মিষ্টি সমৃদ্ধ এই উদ্ভিদের চাষ হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের সুগার ক্রপস্ গবেষণা কেন্দ্রে।

এ উদ্ভিদ মানবদেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। জানা গেছে, এ গাছটির আদি উৎপত্তি স্থল প্যারাগুয়ে। ওই দেশে ১৯৬৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে স্টিভিয়ার চাষ শুরু হয়। বর্তমানে জাপান,যুক্তরাষ্ট্র,ব্রাজিল,কোরিয়া,মেক্সিকো,থাইল্যান্ড ও ভারত সহ বিভিন্ন দেশে দুর্লভ এ প্রজাতির স্টিভিয়া ফসল হিসেবে চাষ হচ্ছে।

২০০১ সালে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট মানব দেহের উপকারী এই উদ্ভিদটি থাইল্যান্ড থেকে সংগ্রহ করে। দীর্ঘ গবেষণা ও আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে পাবনার ঈশ্বরদী ও দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে স্টিভিয়া বা মিষ্টি পাতা প্রজাতির এ উদ্ভিদের চাষ শুরু হয় ।

ঠাকুরগাঁও সুগার ক্রপস গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.শরিফুল ইসলাম জানান,স্টিভিয়া প্রজাতির এ উদ্ভিদের পাতা চিনির চেয়ে ৩০-৪০ গুণ মিষ্টি। ক্যালরিমুক্ত এ মিষ্টি ডায়াবেটিস রোগী সেবন করলে রক্তের গøুকোজের পরিমান পরিবর্তন হয় না। এ ছাড়া রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণসহ দাঁতের ক্ষয় রোধ ও ত্বকের কমলতা এবং লাবণ্য বৃদ্ধি করে এমন গুণগত উপাদান রয়েছে এ উদ্ভিদে ।

তিনি আরও জানান,বছরের ৯মাস টবে অথবা মাটিতে এর চাষ করা সম্ভব। এটি কম্পোজিটি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। জাপান,চীন ও কোরিয়াতে স্টিভিয়া প্রজাতির বিভিন্ন খাবার ও ঔষুধ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। এর গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ গবেষণার পর ঠাকুরগাঁও এবং পাবনার ঈশ্বরদীতে চাষ শুরু করেছে এর । বানিজ্যিকভাবে স্টিভিয়া উৎপাদন করে পৃথিবীর অনেক দেশেই এর পাতা বিক্রি করে প্রচুর বৈদেশিক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।