প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা পরীমনির জামিন আবেদন, শুনানি ১৩ সেপ্টেম্বর

পরীমনির জামিন আবেদন, শুনানি ১৩ সেপ্টেম্বর

194
0

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদন করা হয়েছে। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।

আজ রোববার সকালে এই জামিন আবেদন করা হয়। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল।

পরীমনির আইনজীবী মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ১৯ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।

বনানী থানার মাদক মামলায় গ্রেপ্তার পরীমনিকে গতকাল শনিবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। ৪ আগস্ট পরীমনিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর তিন দফায় পরীমনিকে মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

পরীমনির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরীমনির জামিন চেয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে তিন দফা আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করেন। গতকাল বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পরীমনিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। আর বেলা ২টা ৫০ মিনিটে তাঁকে হাজতখানা থেকে আদালতের এজলাসকক্ষে তোলা হয়। পরীমনির আইনজীবীরা আদালতের কাছে আবেদন করেন, আইনি পরামর্শের জন্য তাঁরা পরীমনির সঙ্গে কথা বলতে চান। এটি তাঁর আইনি অধিকার। অবশ্য পরীমনির সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু। তিনি আদালতকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলমান। আসামি জামিনও পাননি। এমন অবস্থায় পরীমনির সঙ্গে আইনজীবীদের কথা বলার অনুমতি না দেওয়ার আবেদন করছি।’ পরে আদালত পরীমনির সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে করা আবেদন নাকচ করেন।

আদালত এজলাসকক্ষ ত্যাগ করার পর পরীমনির কাছে যান তাঁর আরেক আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত। তখন পরীমনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘কেন আমার জামিন আবেদন করলেন না। আমি তো পাগল হয়ে যাব?’ শুনানি শেষে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা বারবার বলছি, পরীমনি অসুস্থ। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পরীমনি আমাকে বলেছেন, তিনি পাগল হয়ে যাবেন।’

পরীমনির বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, ৪ আগস্ট র‍্যাব-১-এর সদস্যরা গুলশান-১ গোলচত্বরে অবস্থান করছিলেন। বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, বনানীর একটি বাসায় পরীমনি সহযোগী আশরাফুল ইসলামের মাধ্যমে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে নিজের বাসায় মজুত রেখেছেন। তাঁরা বাসায় অবস্থান করছেন।

পরে অভিযান চালিয়ে পরীমনির বাসা থেকে নারী র‍্যাব সদস্যদের সহায়তায় তাঁকে আটক করা হয়। বাসার একটি কক্ষের কাঠের ফ্রেমের ভেতর থেকে বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া একটি সাদা জিপারে রাখা চার গ্রাম আইস বা ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করা হয়। আরও জব্দ করা হয় এক ব্লট এলএসডি মাদক। পরীমনির বাসা থেকে জব্দ বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদকের মোট দাম দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা।

মামলায় আরও বলা হয়, পরীমনি এসব মাদকদ্রব্য কবির নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রাখতেন। মামলায় কবিরের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা উল্লেখ নেই। র‍্যাব দাবি করেছে, পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন। তবে পরীমনি ও আশরাফুল ইসলামের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেছেন, র‍্যাব বাসায় মাদক পাওয়ার অভিযোগে যে মামলা করেছে, তা সঠিক নয়।