মির্জা আবির, পঞ্চগড়ঃ ঘটনাস্থলে ৫ জনসহ এ পর্যন্ত মোট ৯ জন নিহত হয়েছে। ৭ জনের অবস্থা আশংকাজনক। ট্রাকের ধাক্কায় বাসের বাম পার্শ্ব খুলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পঞ্চগড়ে এটা স্মরণাতীত কালের সবচেয়ে বড় সড়ক দূর্ঘটনা। যারা মারা গেছেন তারা সবাই সম্ভবত তেঁতুলিয়ার। তবে লাশ দেখে কাউকে চেনা যাচ্ছে না। দূর্ঘটনাকবলিত বাসের মারাত্বক আহত ১০ জনকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে। কয়েকজন তরুণের শুধু মাথা পরে রয়েছে রাস্তায় এবং রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।
মাথা ছাড়া কয়েকটি দেহ বাসের সিটের সঙ্গে লেপ্টে আছে!হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন, কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত মিলছেন না। যারা রক্ত দিতে আগ্রহী তাদের হাসপাতালে জরুরীভিত্তিতে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। লোকজন সেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করছে। তবে হাসপাতালে অহেতুক ভিড় না করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নিরঞ্জন সরকার জানান, পঞ্চগড় থেকে ভাই-বোন এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী একটি বাস তেঁতুলিয়া যাচ্ছিল।
পথে ১০ মাইল বাজারের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা বৈদ্যুতিক খুঁটিবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। পরে শিশুসহ আরো তিনজনের মৃত্যু হয়।পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে দুই শিশু ও এক নারীর মৃত্যু হয়। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আহতদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে।