নওগাঁ প্রতনিধি : নওগাঁর আত্রাই উপজলোয় অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডিার। এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নিয়ম-নীতি এবং প্রশাসনরে কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে অবৈধ বিক্রি করা হচ্ছে এই গ্যাস সিলিন্ডার। নিয়ম অনুসারে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও মজুদ স্থানে র্পযাপ্ত আলো বাতাসের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতারও। এ ক্ষত্রেে ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, জ্বালানি দপ্তরের লাইসেন্স, প্রতিষ্ঠান অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সহ পরিবেশ অধদিপ্তরের ছাড়পত্র নাম্বার বিধান রয়ছে।কিন্তু এ নিয়ম এখানে মানা হচ্ছে না। ফলে বাড়ছে র্দুঘটনার ঝুঁকি।
বিস্ফোরণ অধদিপ্তর এর নিয়ম অনুযায়ী খুচরা দোকানে সিলিন্ডার বিক্রয়ের জন্য র্সবোচ্চ ১০ টি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যায়। ১০ টির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরণ অধদিপ্তর এর লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। কিন্তু অত্রাই উপজেলায় সিলিন্ডার বিক্রি করার নিয়ম নীতি না মেনে গ্যাস বিক্রি করছে প্রায় ১২০ টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে লাইসেন্স আছে মাত্র ১৭টি প্রতিষ্ঠানের।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে মুদির দোকান, ফ্লেক্সিলোডের দোকান, প্লাস্টিক সামগ্রীর দোকান, টিনের দোকান, ফোন-ফ্যাক্সরে দোকান, স্যানিটারাইজার এর দোকান, চায়ের দোকানে সহ বাজারে বিভিন্ন দোকানে এসব এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও পুরাতন সিলিন্ডারে গ্যাস বিক্রি করতেও দেখা গেছে। কোথাও আবার জনবহুল আবাসিক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে এসব ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কেউ কেউ।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ সকল গ্যাস বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে,তারা বলনে আমরা অনকে দিন ধরেই সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছি।কিন্তু অনুমোদন বা লাইসেন্স এর ব্যাপারে আমাদের কিছুই জানা নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর র্কমর্কতা নিতােই ঘোষ বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদরে প্রশক্ষিণের পাশাপাশি লাইসেন্স এবং ফায়ার সার্ভিস সেফটি নেওয়ার বিষয়ে বলে থাকি। এবং যাদের লাইসেন্স এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে তাদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উপজলায় দৈনিক গড়ে ৫ হাজার সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে ১১ মাসে ৫টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটছে।
