প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা নাচোলে বিএমডিএ’র অপারেটাকে উৎকোচ না দেয়ায় এক উদ্যোক্তার ২২বিঘার আম বাগান নষ্টের...

নাচোলে বিএমডিএ’র অপারেটাকে উৎকোচ না দেয়ায় এক উদ্যোক্তার ২২বিঘার আম বাগান নষ্টের পথে

142
0

নাচোল প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএমডিএ’র গভীর নলকুপের অপারেটারকে উৎকোচ না দেয়ার এক উদ্যোক্তার আনুমানিক ২২বিঘার আম, পেয়ার ও বরই (উন্নত মানের জাত) বাগান নষ্ট হওয়ার পথে। ভুক্তোভোগী উদ্যোক্তা আজ রবিবার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী প্রকৌশলী বিএমডিএ ও উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন। ভুক্তোভূগির অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, নাচোল উপজেলার হাটবাকইল এলাকায় কাটাপুকুর মৌজায় কাটাপুকুর গ্রামের মফিজুল হকের ছেলে রহমত আলী আনুমানিক ২২বিঘা জমিতে বিভিন্ন ফলজ জাতীয় গাছ লাগায়। এর মধ্যে আম্রপালি ২হাজার, উন্নত জাতের পেয়ারা ৮শ’টি,উন্নত জাতের বোরই ৮শ’টি। এছাড়া ওই খানে সিড লিড লেবুর কৃষি অফিসের প্রদর্শণী প্লট রয়েছে। ভুক্তোভূগি রহমত জানাই, আমি বেশ কিছুদিন থেকে বিএমডিএ’র গভীর নলকুপের আপারেট রামচন্দ্রপুর হাটের মৃত আলহাজ্ব আব্দুল হকের ছেলে রবিউল ইসলাম রোবুকে আম বাগানে পানি দেয়ার কথা বললে তিনি বিভিন্ন ভাবে টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার কাছে উৎকোচ দাবী করেন। এছাড়া ওই স্কীমে অনেক কৃষককে বিভিন্নভাবে হয়নি করাই তারাও এই অভিযোগ লিপিতে স্বাক্ষর করেন এবং তার অপসারন দাবী করেন। গত বছর এই মৌসুমে আমাকে ওই বাগানে পানি দিতে টালবাহানা করলে আমার বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ৩লক্ষ টাকা। পানি না দেয়ার বিষয়টি নেজামপুর ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে অবহিত করলে তিনি ডীপ অপারেটর রোবুকে পানির দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে তার কথাও উপেক্ষা করেন। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন লেবুর প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শনে গিয়ে লেবুর গাছের করুন অবস্থা দেখে ডীপ অপারেটরকে পানি দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে দিবো দিচ্ছি বলে কাল ক্ষেপন করেন। পানি না পাওয়ার কারেন আমার বাগানের আম, পেয়ারা, বোরই গাছ নষ্ঠ হতে লেগেছে। এই মুহুর্তে যদি আমার বাগানে পানি না দেয়া হয় তাহলে আমার সব গাছ নষ্ঠ হয়েে যাবে। আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ,আত্বীয়-স্বজন ও বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা নিয়ে এই প্রকল্প করেছি। আমার এই বাগান নষ্ট হলে আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে পথে বসতে হবে। সেই সাথে দেনার দায়ে অত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোন পথ থাকবেনা। ডীপ অপারেটর রবিউল ইসলাম রোবুর সাথে তার ব্যবহৃত মোবইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে নাচোল উপজেলা বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী শাহ মোঃ মুঞ্জুরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিত্বে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।