২০১৭ সালে হওয়া সর্বশেষ নতুন বেতনকাঠামো অনুযায়ী কেন্দ্রীয় চুক্তির ‘এ+’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা প্রতি মাসে বিসিবি থেকে বেতন পেয়ে আসছেন চার লাখ টাকা করে।
‘এ’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা পান ৩ লাখ টাকা, ‘বি’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা ২ লাখ টাকা, ‘সি’ শ্রেণির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ‘ডি’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা পান মাসে ১ লাখ টাকা করে।
২০২০ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে লাল ও সাদা বলের খেলার জন্য আলাদা চুক্তি হলেও বেতনের অঙ্ক একই ছিল।
মাঝে বেতন আর না বাড়লেও টেস্ট ও সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে আলাদা চুক্তি হওয়ায় গত বছর আয় বাড়ে বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই। বর্তমানে দুই ধরনের চুক্তিতেই আছেন ৭ ক্রিকেটার, যাঁরা দুই সংস্করণেই খেলেন এবং বেতনও পান দুটি চুক্তি থেকেই।
তবে কোনো ক্রিকেটারের লাল ও সাদা দুই বলের ক্রিকেটেই খেলা মানে কিন্তু এই নয় যে তিনি দুই চুক্তিরই পুরো টাকা পাচ্ছেন।
এ ক্ষেত্রে ওই ক্রিকেটার দুই চুক্তির যেটিতে অপেক্ষাকৃত ওপরের শ্রেণিতে আছেন, সেটির পুরো বেতন এবং নিচের শ্রেণির অর্ধেক বেতন পাচ্ছেন।
দুই চুক্তিতে একই শ্রেণিতে থাকলেও বেতন হবে একটি চুক্তির পুরো অঙ্ক এবং অন্য চুক্তির অর্ধেক পরিমাণ টাকার।
‘এ+’ শ্রেণির ক্রিকেটার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের যেমন আগে বেতন ছিল মাসে চার লাখ টাকা। দুই চুক্তির নিয়ম করায় গত বছর সেটি বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মাসে চার লাখ টাকা পেতেন মুশফিকুর রহিমও। গতবারের চুক্তির পর তিনি পাচ্ছেন মাসে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।
ক্রিকেটার | লাল বলে গ্রেড | সাদা বলে গ্রেড |
মুশফিকুর রহিম | এ+ | এ+ |
তামিম ইকবাল | এ+ | এ+ |
লিটন দাস | বি | বি |
মেহেদী হাসান মিরাজ | বি | বি |
তাইজুল ইসলাম | বি | ডি |
মোহাম্মদ মিঠুন | ডি | সি |
নাজমুল হাসান | ডি | ডি |
মুুমিনুল হক | এ | – |
নাঈম হাসান | ডি | – |
আবু জায়েদ | ডি | – |
ইবাদত হোসেন | ডি | – |
মাহমুদউল্লাহ | – | এ+ |
সৌম্য সরকার | – | এ+ |
মোস্তাফিজুর রহমান | – | বি |
সাইফউদ্দিন | – | সি |
আফিফ হোসেন | – | ডি |
নাঈম শেখ | – | ডি |
তামিম ও মুশফিক লাল ও সাদা বলের দুই চুক্তিতেই আছেন ‘এ+’ শ্রেণিতে। বিসিবির বেতন কাঠামো অনুযায়ী তাঁদের বেতন দাঁড়াচ্ছে এক চুক্তির পুরো ৪ লাখ টাকা ও অন্য চুক্তির অর্ধেক ২ লাখ, মোট ৬ লাখ টাকা।
সঙ্গে অধিনায়ক ভাতা হিসেবে তামিম বাড়তি ৩০ হাজার টাকা পাচ্ছেন। বেশি ম্যাচ খেলায় মুশফিক বাড়তি পাচ্ছেন ২০ হাজার টাকা।
তথ্য: প্রথম আলো