প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা তানোরে মৎস্য জীবিদেরকে উন্মুক্ত বিলের মাছ ধরতে বাধা দেয়ার অভিযোগ

তানোরে মৎস্য জীবিদেরকে উন্মুক্ত বিলের মাছ ধরতে বাধা দেয়ার অভিযোগ

611
0

তানোর প্রতিনিধি :
তানোরে মৎস্যজীবিদেরকে উন্মুক্ত বিলের জলাশয়ে মাছ ধরতে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ৪০জন মৎস্যজীবি স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর তানোর, পবা ও মোহনপুর সিমান্তের তানোর উপজেলার হামিরপুর মৌজায় বিলে কাশিমালা হাড়দহ সিলিমপুরসহ আশপাশের গ্রামের লোকজনের পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। খরা মৌসুমে তারা ওইসব জমিতে চাষাবাদ করেন।

কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ওই জমি পানিতে ঢুবে বিলের উন্মুক্ত জলাশয়ে পরিণত হয়। ফলে বর্ষা মৌসুমে কাশিমালাসহ আশপাশের সাধারণ সৎস্য জীবিরা দীঘদিন থেকেই ওই উণ¥ুক্ত জলাশয় থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

ওই বিলের একটি খাল সরকারী ভাবে লীজ নেয়ার কথা বলে হাড়দহ গ্রামের প্রভাবশালী চাপাই নবাবগঞ্জ এলাকার জৈনক এমদাদুল লীজ নিয়েছে এবং দেখভালের দায়িত্ব তার জানিয়ে প্রভাবখাটিয়ে গত ১৫দিন থেকে এলাকার সাধারণ মৎস্যজীবিদের মাছ ধরতে বাধা দিচ্ছেন এবং মৎস্যজীবিদের জাল ও খলশ্যাসহ মাছ ধরার সামগ্রী জোরপুর্বক নিয়ে যাচ্ছেন।

এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় প্রভাবশালী বুলবুল বাদি হয়ে মৎস্যজীবিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করছেন।

কাশিমালা গ্রামের রফিকুল ইসলামসহ একাধীক ব্যাক্তি বলেন, ওই বিলে আমাদেরই কয়েক হাজার বিঘা জমি পানিতে ঢুবে বিলে পরিনত হয়। তিনি বলেন খরা মৌসুমে বিল থেকে শ্যালো ম্যাশিনে পানি তুলে জমিতে সেচ দেয়ার জন্য বুলবুলকে টাকা দিতে হয়। বর্ষা মৌসুমে ওই বিলে মাছ ধরে মৎস্য জীবি কয়েকশ’ ব্যাক্তি জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

বিলের ছোট খালটি নাকি সরকারী ভাবে লীজ নিয়েছে,কিন্তু কোন কাগজপত্র আমাদেরকে দেখায়না।

এবিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে অভিযুক্ত বুলবুল ও এমদাদুলকে পাওয়া যায়নি।