প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা গোদাগাড়ীতে কিন্ডারগার্টেনের ৪ শতাধিক শিক্ষকের ঈদ আনন্দ নেই

গোদাগাড়ীতে কিন্ডারগার্টেনের ৪ শতাধিক শিক্ষকের ঈদ আনন্দ নেই

509
0

আব্দুল খালেক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রায় চার শতাধিক শিক্ষক মানবেতন জীবন যাপন করছে। জানা যায় গত বছর ১৬ মার্চ থেকে করোনার কারণে সকল প্রকার বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন ভাতা পেলেও বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন ভাতা না পেয়ে তারা অসহায়ত্বের মত দিন পাত করছেন। ১৫ মাস যাবত কেজি স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বিদ্যালয়ের ভাড়া চালানোই মুশকিল হয়ে পড়েছে। অনেকে ভাড়া ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা ঝুকছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আবার অনেকে মহান পেশা শিক্ষকতা ছেড়ে অন্য পেশাতে যেতে সংকোচ করছেন।
উপজেলার কেজি স্কুলগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের বেতনের উপর নির্ভর করে নিজেদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য কাজকর্ম পরিচালিত হয়ে আসছিল। বেতন আদায় না হওয়ার ফলে গত ২০২০ সালে মার্চ মাসের ১৬ তারিখ থেকে শিক্ষক-কর্মচারীগণ বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘর ভাড়া পর্যন্ত দিতে পারছেনা। অত্র উপজেলায় ৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০০ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন এবং ১২ হাজার পাঁচশত জন ছাত্র-ছাত্রী প্লে শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নরত আছে। সাধারণত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর চেয়ে এসব স্কুল সমূহের ছাত্র-ছাত্রীরা ভাল ফলাফল করে থাকে বলে জানা যায়। এসব বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের আদর্শ নাগরিক গঠনে যত্নবান থাকে। এছাড়াও ছাত্র/ছাত্রীরা আদর্শ, ভ্রাতৃত্ববোধ, ধর্মীয় শিক্ষা সুশিক্ষা ইত্যাদি শিক্ষা করে থাকে। সুন্দর পরিবেশে হাতে কলমে শিক্ষার কারণে এখানকার ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষার ভীত মজবুত হয়ে থাকে বলে জানান কিন্ডারগার্টেনের পরিচালকগণ।
গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রায় ৫০টির অধিক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে তার মধ্যে কয়েকটির নাম দেয়া হলো।
১। নূরানী কিন্ডারগার্টেন
২। গোদাগাড়ী শিশু নিকেতন
৩। দারুল উসুয়া কেজি
৪। আল-ইসলাহ ইসলামী একাডেমী
৫। আল হেরা একাডেমী
৬। বাসুদেবপুর প্রি-ক্যাডেট একাডেমী
৭। কামার পাড়া গ্রীন লাইফ
৮। আমতলা কিন্ডারগার্টেন
৯। সুরসপ্তক শিশু কানন
১০। আমতলা এভারেস্ট কেজি
১১। নারায়নপুর প্রি-ক্যাডেট
১২। মাটিকাটা নূরানী কিন্ডারগার্টেন
১৩। উজানপাড়া প্রি-ক্যাডেট স্কুল
১৩। আব্দুস সামাদ কেজি স্কুল কাকনহাট
ইত্যাদি।

এসব প্রতিষ্ঠানগুলো যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে উপজেলার প্রায় ১২-১৫ হাজার শিক্ষার্থী সু-শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই প্রণোদনা দিয়ে হলেও এসব স্কুলগুলোকে ধরে রাখার চেষ্টা করা উচিত হবে মনে করি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা যাতে আসন্ন ঈদ উদযাপন করতে পারে তার জন্য প্রণোদনা দেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন এসব স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ।

অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলগুলো খোলার জোর দাবি জানিয়েছেন শিশু নিকেতনের প্রধান শিক্ষক বরজাহান আলী পিন্টু।