প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

905
0

গত ১১ এপ্রিল নতুনবাজার২৪.কম, বাংলাদেশটুডে.নেট, দৈনিক বাংলাদেশ সংবাদ” ইত্যাদি নিউজ পোর্টালে “গোদাগাড়ীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে পাঠদানের অভিযোগে অধ্যক্ষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা” সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ সংবাদটি করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক মহিশালবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী ব্যক্তিগত আক্রোসমূলক আচরণ করেছেন। তিনি নূরানী কিন্ডারগার্টেনকে আক্রমন করতে গিয়ে আমাকে জামায়াত নেতা সাজিয়েছেন। জিখবর পত্রিকার ব্যাপারে বিষোদগার করেছেন। আমি কার্ড বেচে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছি এবং মানুষ প্রাতরণার স্বীকার হয়েছে বলে সংবাদ লিখেছেন। জনাব হায়দার আলী! একটি সাংবাদিককে দেখান যে আমার কার্ড নিয়ে প্রতারণার স্বীকার হয়েছে? জিখবরে আপনি নিজেও প্রবন্ধ পাঠাতেন। কোনদিনতো আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। আপনি অভিযোগ করেছেন যে, “এস.কে কম্পিউটারে প্রশিক্ষণের আড়ালে হেফাজত স্টাইলে প্রেমনীল চলার অভিযোগ দীর্ঘদিনের”। জনাব হায়দার আলী! আপনি আপনার ছাত্রীদের সারাক্ষণ ইভটিজিং করেনতো তার জন্য মনে করেন যে, সকলেই মনে হয় আপনার মত। আপনি একটি প্রতিষ্ঠানের সংবাদ করতে গিয়ে আমার ব্যক্তিগত ও অন্য প্রতিষ্ঠানকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আপনি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হওয়ার সুবাদে সারাক্ষণ ছাত্রীদের সাথে কেমন আচরণ করেন এটা এলাকাবাসী ভালো জানে। আমাকে আপনি হেফাজত নেতার সাথে তুলনা করে বড়ই ভুল করেছেন। একটি মানুষ দুইটি সংগঠন করতে পারে না। হয়তবা হেফাজত হবে আর নইতো বা জামায়াত হবে। কিন্তু আপনি আমাকে দুইটিই বানিয়ে দিলেন। আসলে আপনার নিজের কু-অভ্যাসগুলো অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার অভ্যাসগুলো অনেক খারাপ। একটি নিউজ করার ঢং নেই আবার সাংবাদিকতা করেন। আপনি যে নিউজটি করেছেন সেটিতে প্রতিটি লাইনে লাইনে ৪/৫টি করে বানান ভুল। যে প্রতিষ্ঠানের সংবাদ লিখলেন সে প্রতিষ্ঠানের নামের বানান হলো তিনটি, আপনি তিনটি বানানই ভুল করেছেন। আপনি সাংবাদি ও শিক্ষক নামের কলংক। আপনার মাধ্যমে ছাত্রীরা কি শিখবে? আপনি কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষন হন। অযোগ্য অথর্ব মানুষ যদি কোন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয় তাহলে বিদ্যালয়ের বারোটা বাজবে বৈকি? আপনার কয়টি বউ লাগে বলুনতো। আপনার বিরুদ্ধে মানুষ মানববন্ধন করে কেন? সরকার বাল্য বিবাহ না দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে, আর আপনি নিজ বালিকা স্কুলে শিক্ষকের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করে নিজ ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেছেন। এহেন কর্মকান্ডের জন্য জাতীয় পত্রিকা আপনার নিউজ করেছে, আমিতো আপনার নিউজ করিনি।  আপনার বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসে এত অভিযোগ কেন? আর কত মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করবেন আপনি? অনেক মেয়ে আছে যারা শিক্ষকতা পেশাটিকে কলংকৃত করবে না বলেই কিছু বলতে চায়না, কিন্তু আপনি এমন কেন? আপনি যে টাকা খরচ করে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন সে টাকা সুদে আসলে ওসুল করার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছেন। আপনি যখন মহিশালবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়ে আগমন করলেন তখন সকলেই বলেছিল যে, অন্তত হায়দারকে একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া ঠিক হয়নি। বিষয়টি যেন বিড়ালকে শুটকি শুকাতে দেয়ার ন্যায়।
পরিশেষে বলতে চাই সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যে মানহানিকর শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে তার সাথে আমার দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্যেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর। আমি এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার নিজস্ব ওজন বজায় রেখে সরজমিনে তদন্তপূর্বক বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন করার জন্য সংশ্লিষ্ট পত্রিকা ও সাংবাদিককে আহ্বান জানাচ্ছি।
আব্দুল খালেক