সাইদ সাজু, তানোর থেকে :
তানোরে যক্ষা রোগে আক্রান্তরা বিনা খরচে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে সাভাবিক জীবনে ফিরছেন। ফলে ‘যক্ষা হলে রক্ষা নেই, একথার ভিত্তি নেই’ এই কথারই বাস্তবায়ন ও সত্যে পরিনত করেছেন তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যক্ষা রোগ নিয়ন্ত্রন ইউনিটের চিকিৎসকগন। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষন ও সুচিকিৎসায় যক্ষা রোগ থেকে সুস্থ্য হয়ে সাভাবিক জীবন-যাপন করছেন যক্ষা রোগে আক্রান্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর রোগীরা। দীর্ঘদিন ধরে কাশিতে ভোগা রোগীদের সনাক্ত করে তাদের কফ পরিক্ষার পর যক্ষা ধরা পড়লেই শুরু করেন ৬মাস মেয়াদী চিকিৎসা। বিভিন্ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে থেকে যক্ষায় আক্রান্তকিনা তার পরীক্ষা নিরিক্ষার সকল ব্যাবস্থাই এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যক্ষা ইউনিট থেকেই করা হচ্ছে। ফলে এঅঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী সহজেই এবং বিনা মুল্যেই যক্ষা রোগের চিকিৎসা পাচ্ছেন। এবং সুস্থ্য হয়ে সাভাবিক জীবনে ফিরছেন।
চলতি বছর গত ১০ মাসে রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১শ’৬৬জনকে যক্ষা রোগে আক্রান্ত হিসাবে সনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। এর মধ্যে বিনা মুল্যে চিকিৎসা নিয়ে যক্ষা থেকে রক্ষা পেয়ে সম্পূর্ন সুস্থ্য হয়ে সাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪১জন। অন্যরাও রয়েছেন চিকিৎসাধীন। তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যক্ষা নিয়ন্ত্রন ইউনিট সুত্রে জানা গেছে, চলছি বছর ১লা জানুয়ারী থেকে অক্টোবর পর্যন্ত গত ১০মাসে তানোর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর সভায় ১শ’৬৬জন যক্ষা রোগে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৪১জন যক্ষা রোগী বিনা মুল্যে চিকিৎসা নিয়ে সম্পূর্ন সুস্থ্য হয়ে সাভাবিক জীবন যাপন করছেন। অন্যদেরও চিকিৎসা চলছে।
তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যক্ষা ইউনিটের (টিএলসিএ) টিভি লোপ্টোসি কন্ট্রোল এ্যাসিসটেন্ট ইসমাইল হোসেন বলেন, তামাকযাত দ্রব্য ব্যবহার কারীদের মধ্যে যক্ষা রোগীর সংখ্যা বেশী। যক্ষায় আক্রান্তদের হাচি-কাশির মাধ্যমে বাতাসে এরোগ ছড়ায়, যা একজন আক্রান্ত হলে পার্শের অন্যজনও এর মাধ্যমে যক্ষায় আক্রান্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, চলতি বছর গত ১০মাসে তানোর উপজেলায় ১শ’৬৬জন যক্ষা রোগী সনাক্ত করে সকলেরই বিনামুল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪১জন সম্পূর্ন সুস্থ্য হয়েছেন, বাকিদের চিকিৎসা চলছে। তিনি আরো বলেন, যক্ষা রোগীকে ৬মাস নিবিড় পর্যবেক্ষন ও নিয়মিত ভাবে ঔষুধ সেবনের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করতে হয়। যক্ষা রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি ৬মাস নিয়ম অনুযায় ঔষুধ সেবন করলে সম্পূর্ন সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। তানোর উপজেলার মধ্যে তালন্দ ইউনিয়ন এলাকায় তুলনামুলক ভাবে যক্ষা রোগী বেশী। তিনি বলেন, যক্ষা রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা বিনা মুল্যেই করা হচ্ছে, যক্ষায় আক্রান্ত কোন রোগীকে চিকিৎসা করাতে কোন খরচ করতে হয়না। ৩সপ্তাহের বেশী সময় ধরে কাশি হলে তার যক্ষা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা জরুরী। #