প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা এক যুগেও আলোর মুখ দেখেনি ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের শিশু পার্কটি

এক যুগেও আলোর মুখ দেখেনি ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের শিশু পার্কটি

262
0

ফিরোজ সুলতান, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের পুরো শহর জুড়ে শিশুদের জন্য নেই কোনো বিনোদন কেন্দ্র। গড়ে উঠেনি কোন খেলার পার্ক। এতে করে জেলা পরিষদের শিশুপার্ক বানানোর ঘোষনার পর থেকেই উচ্ছাসিত ছিলো শহরবাসী। তবে এক যৃুগ হতে চললেও আলোর মুখ দেখেনি নির্মাণাধীন পার্কটি। ঠাকুরগাঁও শহরে শিশুদের জন্যে কোন প্রকার বিনোদের ব্যবস্থা না থাকায় শহরের বাসিন্দারা এখনও স্বপ্ন দেখে এই পার্কটি নিয়ে।
শিশুদের বিনোদনের জন্যে ২০১০-১১ অর্থ বছরে শহরের টাঙ্গন নদীর ধরে একটি শিশুপার্ক নির্মাণের কাজ শুরু করে জেলাপরিষদ। সে সময় ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট, প্রাচীর নির্মাণ, প্রবেশ গেট ও টিকিট কাউন্টার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এরপর অজানা কারনেই থেমে যায় সেই পার্ক নির্মাণের কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুদীর্ঘ এ সময়েও পার্কটিতে রাইডার বা খেলার সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়নি। পার্কের ভিতরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে এবং পাশের নির্মাণাধীন একটি ব্রিজের কিছু সরঞ্জাম পার্কের একপ্রান্তে রাখা।
পার্কের পাশেই সদ্য নির্মিত টাঙ্গন সেতুতে সšন্তান নিয়ে ঘুরতে এসেছিল কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, বাচ্চাদের সবসময় বাসায় বন্দী করে রাখাতো ঠিক না। একটু বাহিরে ঘুরতে নিয়ে এসেছি। খুবই দুঃখজনক বিষয় যে, আমাদের শহরে কোনো প্রকার শিশু বিনোদন কেন্দ্র নেই। তাদের খেলার জন্যে নির্দিষ্ট কোনো মাঠও নেই। শিশু পার্কটি হলে একটু ভালো হতো।
সমাজকর্মী নাজমুল বলেন, ২০১০ সালে যখন জানতে পারি ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ একটি শিশুপার্ক করছে তখন এটা দেখে বেশ ভালো লেগেছিল। আমাদের শহরে শিশুদের বিনোদনের জন্যে একটি পার্ক প্রয়োজন। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও ওটা আর সম্পন্ন হলো না। যদি সম্ভব হয়, দ্রæতই এই শিশুপার্কটির কাজ শেষ করে শিশুদের জন্যে উন্মুক্ত করা উচিত। না হলে নতুন প্রজন্মের স্বাভাবিক বিকাশ নিয়ে শংকায় থাকতে হবে।
ঠাকিরগাঁও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জাবেদ আলী বলেন, “শিশুদের বিনোদনের মধ্যে প্রধান হলো খেলার মাঠে বা খোলা জায়গায় সহপাঠী এবং বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে খেলাধুলা করা। শিশুদের যদি ঘরে আবদ্ধ রেখে শুধু টিভি, অনলাইন বা কম্পিউটার বিনোদনের মধ্যে রাখা হয় তাহলে সে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে৷”
ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী জানান, জেলা পরিষদের পক্ষে অর্থায়ন সম্ভব না হওয়ায় ব্যক্তি উদ্যাগে শিশু পার্ক করার জন্য উক্ত জমিটি লিজ দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই ব্যক্তি উদ্যাগে শিশু পার্কের কাজ শুরু করা হবে।