প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

764
0

গত ৫ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. তারিখে রাজশাহী বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত “চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কর্মরত জেলা রেজিষ্ট্রার আলী আকবর ও তার প্রধান সহকারী ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১৮/০৭/২০০৪খ্রি. তারিখের ৮১৯ বিচার ৭/২এন- ৮৫/৮৬ নং স্মারকে তাজেমুলক হককে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১১ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিষ্ট্রার মোঃ তাজেমুল হকের বিরুদ্ধে ভুয়া বাসিন্দাগত সনদ ও ঠিকানা দেখিয়ে নিয়োগ/ লাইসেন্স হাসিল করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ১৯৭৫ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিঃ) বিধিমালার ৮নং বিধি মোতাবেক ১০/৬/২০০৯খ্রি. মোঃ তাজেমুল হকের লাইসেন্স প্রত্যাহার করে পদটি শূন্য ঘোষনা করা হয়।
এছাড়া সদর পৌরসভার ০১ ও ০৩নং ওয়ার্ডে মোস্তফা কামাল, ২ ও ৬ নং ওয়ার্ডে মুহাঃ আব্দুস সামাদ, ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে মুহাঃ কুরবান আলী, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে মুহাঃ আব্দুল কাদির, ৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডে মোঃ এনামুল হককে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৮/০৬/২০১৬ খ্রি. নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। যার কারনে উক্ত পৌরসভায় কোন অধিক্ষেত্র শূন্য না থাকায় ইতোপূর্বে যে সকল রেজিস্ট্রারগণকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে।
তাজেমুল হকের লাইসেন্স প্রত্যাহার/ বাতিল করার পরেও অবৈধভাবে নিজেই নিকাহ রেজিস্ট্রার ভলিউম তৈরি করে ভুয়া কাজী সেজে এখনো বিবাহ/ তালাক রেজিস্ট্রি করে চলেছেন বলে জানা যায়। জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে কাজীদের তালিকায় তার কোন নাম নেই এবং তার নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ আছে। সেহেতু তিনি একজন ভুয়া কাজী।
২০০৪ সালের মেমো রেজিস্ট্রার কোথায় আছে সেটা আমার জানা নেই। কারণ আমি মাত্র ২ বছর আগে এখানে এসেছি। ২০০৪ সালের পুরনো নথি গায়েবের বিষয়টি তিনি কিভাবে জানলেন? এটাতো আমার জানার কথা নয়। হয়তবা তিনিই সেটি চুরি করে তার দায় আমাদের উপর চাপাতে চাচ্ছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কর্মরত জেলা রেজিস্ট্রার আলী আকবর ও আমার প্রধান সহকারী ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে নিকাহ রেজিস্ট্রারদের নিকট থেকে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও নিত্যান্তই উদ্যেশ্যপ্রণোদিত। তাজেমুল হকের লাইসেন্স বাতিল হওয়ায় তিনি মানষিকভাবে বিকারগ্রস্থ হয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। তিনি ২১ নভেম্বর ২০০৮ সালে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে র‌্যাবের হাতে আটক হন, যা স্থানীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পায়।  ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে বস্তুনিষ্টু সংবাদ পরিবেশনের জন্য আহ্বান করছি। সেই সাথে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী :
আলী আকবর ও
ইসমাইল হোসেন