প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা বাগমারায় চেয়ারম্যান সাফির বিচার ও ইটভাটা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন 

বাগমারায় চেয়ারম্যান সাফির বিচার ও ইটভাটা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন 

136
0
আশরাফুল ইসলাম ফরাশী ,বাগমারা প্রতিনিধিঃ  রাজশাহীর বাগমারায় সামসুদ্দীন প্রামানিক নামে এক কৃষককে হত্যাচেষ্টার মামলায় আউচপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফির বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা
হয়েছে।

বুধবার বিকেলে ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে পৃথক স্থানে এই কর্মসূচী পালন করে গ্রামবাসী। বিকেল ৪ টায় বিষ্ণপুর গ্রামে নারী-পুরুষ এবং শিশু সহ সকল বয়সের জনসাধারণ চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফির অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ সহ চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং নিরীহ কৃষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।

পরে হাট খালগ্রাম বাজারে আরেক দফা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ইউনিয়নের আপামর জনসাধারণ।

এরই মধ্যে মঙ্গলবার উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান সাফিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

বুধবার জামিনে ছাড়া পায় চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফি। উল্লেখ্য গত রবিবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের কৃষক সামসুদ্দীন প্রামানিককে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায় চেয়ারম্যান সাফি সহ তার লোকজন। পরে চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফি কৃষক শামসুদ্দীন প্রামানিকের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সেই সাথে লোহার রড দিয়ে পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে দেয়। পরে  সামসুদ্দীন প্রামানিককে গুরুতর অবস্থায় স্থানীরা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সামসুদ্দীনের ছেলে নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মূলহোতা চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, ওয়াজেদ আলী, নাজির আলী, একেন আলী, আব্দুল সালাম, রেজাউল ইসলাম, ইসরাইল সহ প্রমুখ।

ইট ভাটার নামে কৃষকদের নিকট থেকে জোর পূর্বক ধানের জমি দখল করে নেয় চেয়ারম্যান সাফি। কৃষক সামসুদ্দীন প্রামানিক জমি দিতে রাজি না হওয়ায় তার উপরে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবী করেন এলাকাবাসী। সময় মতো জমির মালিকদের লীজের টাকা পরিশোধ করেন না বলে অভিযোগ করেন তারা। মেয়াদ পার হওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করে ভয়ভীতি দেখান বলেও জানিয়েছেন গ্রামবাসী।

চাহিদা মতো জমি না পাওয়ায় শামসুদ্দিন প্রামানিককে তুলে নিয়ে চেয়ারম্যানসহ ভাটার লোকজন হত্যাচেষ্টা চালান। চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফির বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরেন মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী। ইট ভাটাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান নেশা ও খারাপ কাজের আখড়া গড়ে তুলেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এ সকল কর্মকান্ড বন্ধের জন্য দ্রুত বিষ্ণপুর গ্রামে চেয়ারম্যানের ইটভাটা উচ্ছেদের পাশাপাশি তাঁর অপসারণের দাবী করেন এলাকাবাসী।

 

কম্পিউটার শিখুন অনায়াসে: