প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা সরিষা  গাছের “হলুদ ফুলের রঙ্গে” ছেয়ে  গেছে তাহেরপুরে  ফসলের মাঠ

সরিষা  গাছের “হলুদ ফুলের রঙ্গে” ছেয়ে  গেছে তাহেরপুরে  ফসলের মাঠ

182
0
আশরাফুল ইসলাম ফরাশী, বাগমারা প্রতিনিধিঃ  তাহেরপুর পৌর এলাকার মাঠ ছেয়ে গেছে সরিষা ফুলে। মাঠজুড়ে শুধু হলুদ ফুল। তাহেরপুরে সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখে – মুখে আনন্দের রেখা ফুটেছে। এবার সরিষার হলুদ ফুলে মাঠ-ঘাট ছেয়ে গেছে। মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। সরিষার ফুলে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা মাঠ।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশা কৃষকদের।ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার ৩৭০ হেক্টর, জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে মাঠ – ঘাট। দুরন্ত শিশুরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ছুটোছুটি করছে। মাঠে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। সরিষার ফুলের চারপাশে মৌমাছির আনাগোনা বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার রসুলপুর গ্রামের কৃষক মোঃ হান্নান বলেন, ‘এবার এক একর জমিতে সরিষা আবাদ করেছি – বেশ ভালো ফুল ধরেছে। আসা করা যায় ফলন ভালো হবে।’ বাছিয়া পাড়া মহল্লার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন,আমি প্রায় দেড় বিঘা জমি বরগা নিয়ে সরিষার আবাদ করেছি – আশা করছি ফলন ভালো হবে। বিশুপাড়া গ্রামের কৃষক ইসরাফিল বলেন, আমি এক একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি।  বেশ ফুল ফুটেছে। আশা করছি ফলন ভালো হবে। সরিষায় ধানের চেয়ে অধিক
 লাভ  জনক হওয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও আবাদ করেছি।’

এ বিষযে জানতে চাইলে তাহেরপুর ব্লকের উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী বলেন, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মোজদার হোসেন স্যার এর দিক নির্দেশনায় এবং বাগমারা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আঃ রাজ্জাক স্যার এর তত্ত্বাবধানে বাগমারা উপজেলায় লক্ষ মাত্রা ছিলো ৭৫৪৩ হেক্টর আর অর্জন ৮৫১০ হেক্টর প্রতি হেক্টরে ফলন আশা করা যাচ্ছে প্রায় ১.৪ টন হবে। গত বছর তাহেরপুর পৌরসভায় সরিষার চাষ হয়েছিলো ২০০ হেক্টর এবার লক্ষ মাত্রা ছিলো ৩০০ হেক্টর।  সেখান থেকে লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ৩৭০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ।  কৃষকের মাঝে ভালো মানের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার সরিষার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। সাধারণত মাঘ ও ফাল্গুন মাসে কৃষকেরা ঘরে সরিষা তুলতে পারবেন।’