প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা তানোরে অনলাইনে ক্লাশের সুবিধায় পিছিয়ে শিক্ষার্থীরা

তানোরে অনলাইনে ক্লাশের সুবিধায় পিছিয়ে শিক্ষার্থীরা

1109
0

সাইদ সাজু তানোর থেকে :
রাজশাহীর তানোরে গ্রামের মাটির ঘরে নেটওয়ার্ক নেই গ্রামীন ফোনের। ফলে, গ্রামীন ফোন ব্যবহারকারীরা একদিকে যেমন বিড়াম্বনার স্বিকার হচ্ছেন অন্যদিকে অনলাইনে ক্লাশের সুবিধায় পিছিয়ে থাকছেন শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে ঘরের বাইরে মাটির বাড়িতে ফোনে বলা কথা শোনা ও বুঝা যায়না।

ফলে, গ্রামাঞ্চলে মাটির বাড়িতে বসবাসকারী গ্রামের মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে জরুরী বার্তা আদান-প্রদানে বিড়াম্বনায় পড়তে হচ্ছে গ্রামীন ফোনের ব্যবহারকারী গ্রামের মানুষদের। অপর দিকে কাস্টমার কেয়ার তুলে নেয়ায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের সুবিধার সুযোগ নেই। ফলে, হাজারো সমস্যায় রয়েছেন মাটির বাড়ির গ্রামীন ফোনের সংযোগ ব্যবহারকারীরা।

তানোরে মাটির বাড়ি’র গ্রামীন ফোনের সংযোগ ব্যবহারকারীরা বলছেন, গ্রামীন ফোনের টাওয়ার থেকে দু’ এক কিলোমিটার দুরের মাটির বাড়ির ঘরে গ্রামীন ফোনের নেটওয়ার্ক ঠিকমত থাকেনা, মাঝে মাঝে নেটওয়ার্ক পেলেও কথা বলতে বলতেই কেটে যায়। ঘর থেকে বেরিয়ে বাড়ির ভিতরে কথা বলতে চাইলেও প্রায় সময়ই কথা বোঝা যায়না।

করোনা কালে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ নেয়ার সরকারী নির্দেশনা থাকলেও ঘরে নেটওয়ার্ক না থাকায় শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাশ সুবিধা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। বাড়ির বাইরে নেটওয়ার্ক পেয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করলেও গতি কমের কারনে ব্যবহার করা যাচ্ছেনা।

তানোরে গ্রামাঞ্চলে মাটির বাড়িতে বসবাসকারী গ্রামীন ফোনের সংযোগ ব্যবহারকারীরা ওয়ান টু ওয়ানে ফোন করে এসব অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে কোন কর্নপাত করেন না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

তানোর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি চুনিয়া পাড়ার মাটির বাড়িতে বসবাসকারী আশরাফুল ইসলাম রন্জু বলেন, ২০০২ সাল থেকে তিনি গ্রামীন ফোনের সংযোগ ব্যবহার করছেন, ওইসময় ইন্টেনেয়ারের মাধ্যমে ব্যবহার করলেও এখনো তার মাটির ঘরে মোবাইলের টাওয়ার থাকেনা।
ফলে তিনি জরুরী মুহুর্তে গুরুত্বপুর্ন তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বিড়াম্বনার স্বীকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, ঘরে নেটওয়ার্ক না থাকায় ঘরে ঢুকে পড়লেই সকলের সাথেই যোগাযোগ বন্দ হয়ে যায়। বাড়ির ভেতরে কথা বলা হলেও কথা বোঝা যায়না। বাড়ির বাইরে ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও গতি খুবই কম।

তানোর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাটির বাড়িতে বসবাসকারী গ্রামীন ফোনের সংযোগ ব্যবহারকারী গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গ্রামীন ফোন গ্রামের মাটির ঘরে নেটওয়ার্ক থাকেনা, মাটির বাড়ির ভেতরে নেটওয়ার্ক থাকলেও কথা বোঝা যায়না। বাড়ির বাইরে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় গতি পাওয়া যায়না।

ফলে দীর্ঘদিন থেকে নানা বিড়াম্বনার মধ্যে দিয়েই গ্রামের বাটির বাড়িতে বসবাসকারীদেরকে গ্রামীন ফোনের সংযোগ ব্যবহার করতে হচ্ছে। গ্রামের মাটির ঘরে নেটওয়ার্ক না থাকায় এবং ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ায় বিড়াম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের।

এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, তানোর থানা মোড়ের রেজিয়া এন্টার প্রাইজে (সাবেক) কাস্টমার কেয়ারের স্বত্বাধীকারী দেলোয়ার হোসেন এসব বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাস্টমার কেয়ার সার্বিস সুবিধা তুলে নেয়া হলেও এখনো প্রতিদিনই গ্রামীম ফোনের সংযোগ ব্যবহারকারী শতশত গ্রাহন বিভিন্ন সেবা নিতে আসেন।

কিন্তু আমাদের সিম রিপ্লেক্্র করা ছাড়া অন্য কোন সেবা দেয়ার সুযোগ নেই। ফলে, কাংকীত সেবা না পেয়ে গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা গ্রাহকদের সাধ্যমত সেবা প্রদানের সহযোগীতা করছি, কিন্তু গ্রাহকদের গুরুত্বপুর্ন সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়না। গ্রাহকদের সেবা প্রদানে তিনি আবারো কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস চালু’র দাবি জানান।