প্রচ্ছদ উপজেলার খবর মুন্ডমালা পৌর নির্বাচনী মাঠে নেই রাব্বানী মামুন

মুন্ডমালা পৌর নির্বাচনী মাঠে নেই রাব্বানী মামুন

296
0
সাইদ সাজু তানোর থেকে : মুন্ডমালা পৌর সভা নির্বাচনে মাঠে নেই তানোর উপজেলা আ’ লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও তানোর উপজেলা আ’ লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আ’ লীগের কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসুচীসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোন কর্মসুচীতেও দেখা মিলে না এই দুই নেতার।
তবে, এই দুই আ’ লীগ নেতা দলীয় শীর্ষ পদ পদবি ব্যবহার করে ঢাকাসহ রাজশাহীতে অবস্থান করে
দলীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি একজন ব্যস্থ্য নতুন নতুন গাড়ী ও বাড়ি বদলাতে আর একজন ব্যাস্থ্য  নিজের পোষাক বদলাতে।
ফলে, তানোর উপজেলা জেলায় কোন দলীয় সভা সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে তারা দুরে থাকলেও থেমে নেই এই দুই নেতার এমপি বিরোধী কর্মকান্ড।
এই দুই নেতা মাঝে মাঝে এলাকায় বসন্তের ককিলের মত এসে এমপি ফারুক চৌধুরীর সমালোচনা করে আবার চলে যান কেউ ঢাকা কেউ রাজশাহীতে।
ফলে, তানোর উপজেলা জেলার রাজনৈতিক মাঠে যেমন নেই তাদের কোন কর্মকান্ড তেমনি ভাবে পৌর নির্বাচনী মাঠে নৌকার পক্ষে নেই তাদের কোন ভুমিকা।
এবিষয়ে রাজশাহী জেলা আ’লীগ সহ- সভাপতি শরিফ খান বলেন, আ’ লীগের নেত্রীতে এদেশ স্বাধীনতা হয়েছে তাই এই দল ও দলের পদপদবিধারী নেতাদের দায়বদ্ধতাও অনেক বেশী।
কিন্তু যারা আ’ লীগের পদপদবি ব্যবহার করবে আর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসহ দলের কেন্দ্রীয় কর্মসুচী পালন করতে পারেন না তাদের এই দলের সভাপতি সম্পাদক হওয়াতো দুরের কথা সদস্যপদে থাকারও কোন যোগ্যতা থাকেনা।
তিনি বলেন, তানোর উপজেলা আ’ লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও তানোর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৬ শে মার্চ স্বাধীতনা দিবসসহ ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও তাদেরর দেখা মিলেনা।
এমনকি জাতীয় শোক দিবসসহ যত দিবস আছে তার কোনটাই তারা কোন কর্মসুচী পালন করা তো দুরের কথা তাদেরকে দেখাই যায়না অথচ তারা দলের শীর্ষ পদপদবি নিয়ে তারা দীর্ঘদিন থেকে রাজশাহীসহ ঢাকায় বসে বিরোধী দলের নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে এমপির বিরোধীতা করছেন।
তিনি আরো বলেন, তারা নিজেনা দলের জন্য কিছুই করেনি করতেও পারবেনা কিন্তু দলীয় পদপদবিও ছাড়ছেন না।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাব্বানী নৌকা ফুটো করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলো, সেই ক্ষোভে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও  নৌকা ফুটো করতে আ’ লীগ দলীয় সভাপতি রাব্বানী তার নিজের ছোট ভাই শরিফুলকে হাতুড় প্রতিকে প্রতিদ্বন্দীতা করে হেরে গেছেন।
আ’ লীগের শীর্ষ পদে থাকা গোলাম রাব্বানী এবার পৌর নির্বাচনে নৌকা ফুটো করতে তার ঘনিষ্ট সহচর সাইদুর রহমানকে জগ প্রতিকে ভোটে দাড় করিয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টা করছেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,  রাব্বানী মামুন আ’ লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের পদতো দুরের কথা এই দুইজন আ’ লীগের সদস্য হওয়ারও যোগ্যতা হারিয়েছেন।
এবিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে তানোর উপজেলা আ’ লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও তানোর উপজেলা আ’ লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে, এবিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপস্থাপন করা হবে।
 তিনি বলেন,  নৌকার সাথে বেইমানি করা মানে দলের সাথে বেইমানি করা, স্বাধীনতা ও  বাংলাদেশের সাথে বেইমানি করা, প্রধান মন্ত্রীর সাথে বেইমানি করা। এসব বেইমানদের আগামীতে আ’ লীগে স্থান হবেনা।