প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা সাপাহারে সরকারি চাকরিজীবীদেরও ভিজিএফের টাকা দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

সাপাহারে সরকারি চাকরিজীবীদেরও ভিজিএফের টাকা দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

919
0
হাফিজুল হক,সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ৬ নং শিরন্টী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাকীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার (ভিজিএফ)-এর টাকা গরীবদের না দিয়ে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদেরকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ১ নং ওয়ার্ডবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেছেন আবু হানিফ ও হারুন-অর-রশিদ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২১ ইং সালে ঈদুল ফিতরের ভিজিএফ গরীব দুঃখি মানুষের টাকা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত উপজেলার জামায়াত আমির ও শিরন্টী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাকী ও ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য  জিল্লুর রহমান ও তার একান্ত পার্টনার  রাকিব এর যোগসাজোসে ভিজিএফ বিতরণ তালিকা প্রস্তুত করা হয়। ওই তালিকা অনুযায়ী বিতরণ করেন চেয়ারম্যান। সরকারি প্রজ্ঞাপন তোয়াক্কা করেন না এই চেয়ারম্যান।
সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ছাড়াও একই ব্যাক্তিকে একাধিক সরকারি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন তিনি। অপরদিকে, ওই ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডে বেশ কিছু সংখ্যাক প্রকৃত অসহায় লোকজন এবারের ঈদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেওয়া আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
ওই তালিকায় দেখা গেছে ইউনিয়েন ১ নং ওয়ার্ডে সাবজালের মেয়ে ও  আওয়ালের স্ত্রী মোসাঃ অজেনুরকে বিধবা ভাতা, রেশন ও ভিজিএফ সুবিধা দেয়া হয়েছে।  মৃত: কলিমদ্দীনের ছেলে মোঃ এরশাদ আলীকে রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও ভিজিএফের টাকা উঠিয়েছেন। আশাদুলের স্ত্রী মোসাঃ ফরিদা গর্ভবতী না হওয়া সত্ত্বেও মাতৃত্বকালীন ভাতা উঠিয়েছেন। এরকমই ওই ওয়ার্ডে ৪০-৪৫ জন ব্যাক্তি বিভিন্ন সরকারি সুবিধা ভোগ করে আসছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে খোঁজ নিলে দেখা যাবে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের দেয়া তালিকায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ভিজিডি, রেশন কার্ডধারীসহ সরকারি বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের নাম রয়েছে।খ
মাতৃত্বকালীন ভাতা উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমিনা খাতুন জানান,  ইউনিয়ন কমিটি এটা যাচাই-বাছাই করেই আমাদের কাছে পাঠাই। এর সাথে চিকিৎকের দেয়া সনদ নিয়ে এই ভাতা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন কমিটি বেশি দায়ী।  আমরা কাছে লিখিত অভিযোগ পেলে যাচাই-বাছাই করব। যাচাই-বাছাইয়ে ভুয়া প্রমাণিত হলে মোসাঃ ফরিদার কার্ড বাতিল করা হবে।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, আমি অনেকদিন থেকে করোনা পজেটিভ। আমি সুস্থ হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল বাকী জানান, চুল দাড়িগুলো এমনি পাকেনি! প্রায় ২৯ বছর হলো চেয়ারম্যানীর বয়স, এগুলোর প্রতিকার কখনো পায়নি। আমার ইউনিয়নে অনিয়ম কখনো হয়নি। এবারে ৪ হাজার ৫৮৪ টির মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টি ভিজিএফ তালিকা দিয়েছে সরকার দলীয় নেতারা সেগুলাতে অনিয়ম হয়েছে। এ বিষয়ে উপর মহলে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বড় বড় সাংবাদিকরাও ফোন দিয়েছিলো আমাকে, তাতেও কিছু হয়নি।