গোদাগাড়ী প্রতিনিধি :

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার স্কুলপাড়া এলাকায় ৩১২ পি / ২০২০ মামলার আদেশ মুলে উচ্ছেদ অভিযানে  যান গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মোঃ শামসুল ইসলাম । ৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার)  দুপুর ১২ টায়  আদালতের আদেশ পেয়ে তিনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে যান। পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে হাজির হতে বলেন তিনি।

এসিল্যান্ড স্থান ত্যাগ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদির ওপর হামলা করেন বিবাদী পক্ষ। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন, তরিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল আলিম (৩৮), বুলু মহাজনের ছেলে রেজাউল করিম (৫৮), আব্দুল বারেকের ছেলে তারিকুল (১৮), তরিকুল ইসলাম ছেলে মাসুদ রানা (২০), একরামুল হকের ছেলে  হুমায়ুন  (৩০) ও শহিদুল ইসলাম (৪০), মৃত সৈয়ব আলীর ছেলে রাশিদুল হক ( ৪৫), মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বদরুজ্জামান (৫৫), বদরুজ্জামানের ছেলে রিফাত (১৮)।   মামলার প্রতিপক্ষ আলমগীর হোসেন দিং দেশীও অস্ত্র দা,  শাবল, কুড়াল লাঠি- বৈঠা নিয়ে  হামলা চালায়।

এছাড়াও প্রশাসনের লোকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, ওদের নিয়ে এসে কি করতে পারবি। তোদের মেরেই ফেলবো। রহস্যজনক কারণে মসজিদের সভাপতি আলমগীর হোসেন মসজিদের মাইকে এ্যালাউন্স করে পক্ষগণকে গালিগালাজ করেন এবং লোক ডেকে মারধর করেন।

মারধরের শিকার ভুক্তভোগীরা গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন খোঁজ নিয়ে জানা যায় আওয়ামী লীগের দোসর শফিকুল ম্যানেজারে শক্তি কাজে লাগিয়ে আলমগীর হোসেন এলাকায় গ্যাং তৈরি করেছেন। কোন বিষয়ে কেউ দ্বিমত হলেই খড়গ চলে তার ওপর। আলমগীরের মতামতের জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।।

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে জেলা রাজশাহীর সিনিয়র দায়রা জজ আদালত ফৌজদারি রিভিশন নং – ১৭/২০২৩ মামলায় দরখাস্তকারীর চলাচলের রাস্তায় দেওয়া অবৈধ প্রাচীর / স্থাপনা দ্রুত অপসারণের  নির্দেশ দেওয়ায় এবং ব্যর্থতায় দরখাস্তকারী আইনানুগ ভাবে উক্ত স্থাপনা অপসারণ করে নিতে পারবে মর্মে আদেশ দেন।কিন্তু প্রতিপক্ষগণ আদেশ পাওয়ার পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই।

দরখাস্তকারী ৭ অক্টোবর সহকারী কমিশনার ( ভূমি) গোদাগাড়ী, রাজশাহী বরাবর লিখিত আবেদন করেন।উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ অক্টোবর উভয় পক্ষকে ডেকে প্রতিপক্ষকে রাস্তা অপসারণ করে নিতে বলেন।এতে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ (বেঞ্চ সহকারী)  এসিল্যান্ড গোদাগাড়ীকে ব্যবস্থা গ্রহণের আদশ দেন। একই মামলায় মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলামকে প্রাচীর অপসারণের আদেশ দেন রাজশাহীর আদালত। সেই আদেশের মুল্যায়ন না করে তিনি প্রভাবিত হয়ে আদালতে রিপোর্ট প্রেরন করেন। এ বিষয়ে খায়রুল ইসলাম জানান, আমি কোন প্রভাবিত হইনি। আমি তাদের নিয়ে বসে সমাধান করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে রিপোর্ট পাঠিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)  মোঃ শামসুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে ডেকেছিলাম। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষগণ পক্ষের ওপর হামলা করেছেন। আমরা আদালতের আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।