আশরাফুল ইসলাম ফরাশী, বাগমারা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ সাজুড়িয়া শাহ পাড়ায় রাফিয়া খাতুন (১২) নামের এক স্কুল ছাত্রীর পুকুরে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
রাফিয়া বাগমারা উপজেলার ১৩ নং গোয়ালকান্দির দক্ষিণ সাজুরিয়া সাহাপাড়ার বাসিন্দা মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকের কন্যা, সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান , রাফিয়ার বাড়ি থেকে অদূরে যশের বিলের শামসুদ্দিনের পুকুরে গ্যাস হওয়ার কারণে মাছ মরতে শুরু হয় আর এমন খবর পেয়ে আনুমানিক বিকাল ৩.৫০ ঘটিকার সময় রাফিয়া এবং হাবিবা (০৭) খাতুন পুকুরে মাছ কুড়ানোর উদ্দেশ্যে যায় ।
রাফিয়া পুকুরের একটু ভেতরে একটি মাছ দেখতে পায় এবং সেটি ধরার উদ্দেশ্যে পুকুরে নেমে সাঁতরিয়ে সে মাছটির কাছে যায় এবং মাছটি নিয়ে ফেরার পথে আর পাড়ে উঠতে না পেরে পুকুরে ডুবে যায় এ সময় রাফিয়াকে ডুবে যেতে দেখে হাবিবা তাকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে পানিতে ঝাপ দিলে হাবিবাও পানিতে ডুবে যায় আর এই ঘটনাটি পুকুরের পাড়ে থাকা অন্য একটি শিশু দেখতে পায় ,পরে পুকুরে খাবার দেওয়া একটি নৌকাতে করে হাবিকে ওই শিশুটি বাঁচাতে সক্ষম হলেও এতক্ষণে রাফিয়া পানির গভীরে তলিয়ে যায় । পরে তারা সেখান থেকে রাফিয়ার বাসায় এসে খবর দেয় যে সে পুকুরে পানিতে ডুবে গেছে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, খবর পেয়ে রাফিয়ার মা আশেপাশের লোকজনসহ গিয়ে পুকুরে রাফিয়াকে দেখতে না পেয়ে লোকজন পুকুরে নেমে রাশিয়াকে খুঁজতে থাকে পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবার কাছে জানতে চাইলে বলেন, হাবিবা আর রাফিয়া একসাথে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়েছিল হাবিবা পুকুর পাড়ে থাকলেও রাফিয়া একটি মাছ ধরার জন্য পুকুরের পাড় থেকে অনেক দূরে সাঁতরিয়ে মাছ ধরতে যায়। পরে সেখানে মাছ নিয়ে আসার পথে ডুবে যেতে দেখে সে রাফিয়াকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে পুকুরে নামে তবে সেও ডুবে যাচ্ছিলেন এ সময় পুকুর পাড়ে থাকা অন্য এক জন শিশু তাকে ডুবতে দেখে উদ্ধার করে এসময় পুকুর পাড়ে অন্য কেউ ছিলনা বলেও জানান হাবিবা।
এ বিষয়ে রাফিয়ার মায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আনুমানিক বিকাল ৩.৫০ ঘটিকার দিকে তার মেয়ে রাফিয়া ওই পুকুরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে যায় আর তিনি বাড়িতে কাজ করছিল , এমতো অবস্থায় হাবিবা সহ আরো কয়েকজন বাড়িতে এসে তাকে খবর দেয় যে তার মেয়ে পুকুরে ডুবে গেছে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না খবর পেয়ে লোকজনকে ডেকে নিয়ে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখেন যে রাফিয়াকে দেখা যাচ্ছে না এমতাবস্থায় গ্রামের কিছু লোকজন পুকুরে ডুব দিয়ে মৃত অবস্থায় তার মেয়ে কে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন , পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি তারা জানতে পেরেছে , এখনো কেও লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে তারপরে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।