জিখবর ডেস্ক :
রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানায় প্রায় এক মাস যাবত ওসির পদটি শূন্য রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি শূন্য থাকার ফলে নয়টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। গোদাগাড়ী মডেল থানা সূত্রে জানা যায় চলতি বছরের ৯ আগস্ট গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বদলি হয়ে অনাত্রে চলে যাই।
ঐ দিনই গোদাগাড়ী মডেল থানার নতুন ওসি হিসাবে যোগদান করেন আতাউর রহমান। তিনি ৩৬দিন দায়িত্ব পালনের পরে ১৫ সেপ্টেম্বর বদলি হয়ে অনাত্রে চলে যাই। ঐ দিনই নতুন (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন মনিরুল ইসলাম তিনি ও গত ০৬ অক্টোবর বদলি হয়ে অনাত্রে চলে যাওয়াই। এ তারিখ থেকে এক মাস যাবত ওসি পথটি শূন্য অবস্থায় রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি শূন্য থাকায় ৯টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ থানা টির কার্যক্রম স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জনমণে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে জনগণের দোড়গোড়ায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রাতদিন সমানে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।ওসির অবর্তমানে থাকা গোদাগাড়ী থানার (তদন্ত) ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি জানান জনবল সংকটের কারণে কিছুটা স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, তারপরও জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান গোদাগাড়ী মডেল স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে চাইলে প্রায় ১০০ জন লোকবল প্রয়োজন কিন্তু আছে মাত্র ৬০ জন এদের মধ্যে উপ-পরিদর্শক (এস আই) ৮জন সহ কারি উপ পুলিশ পরিদর্শক(এ এস আই ১০জন বাকি সবই কনস্টেবল।।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসির পদটি শূন্য থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এ বিষয়ে আমার উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে। এ বিষয়ে এক আলাপ কলে গোদাগাড়ী নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মানবাধিকার কর্মী, ও রাজশাহী জজ কোটের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দীন বিশ্বাস জানান নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানায় ওসি নিয়োগ করা হোক।এ আমি বিষয়ে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহীর পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান জানান গোদাগাড়ী মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে মোয়াজ্জেম হোসেন আছে। আমি এখন একটা পরীক্ষার বোর্ডে আছি এখন কথা বলতে পারব না বলে ফোনের সংযোগটি কেটে দেন।