আব্দুল খালেক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ডাইংপাড়া থানা রোডটি ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের দখলে রয়েছে। ফলে যখন তখন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ রাস্তাটি সারা বছর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলা ব্যবসায়ীরা দখল করে থাকে। বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ডিম, চা, গুড় ও ফল ব্যবসায়ীরা দখল করে রাখে। এখন রমযান মাস চলছে পুরো ফুটপাত দখল করে রেখেছে পার্শবর্তী ব্যবসায়ীরা।

অপর দিকে মূল রাস্তায় একটি করে কলা ব্যবসায়ীর ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকে সেখানে ভিড় জমিয়ে ক্রেতারা কলা কিনছেন, তার পাশেই আবার রিক্সা দাঁড়ানো। এ যেন প্রতিদিনের রুটিন।
এ ব্যস্ত সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন মডেল থানার কয়েকটি পুলিশ ভ্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমিশনার (ভূমি)সহ সরকারি-বেসরকারি অনেক ভিআইপিদের গাড়ী যাতায়াত করে। গাড়ীগুলো যাতায়াত করতে ড্রাইভারদের অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বার বার হর্ণ দিয়েও রাস্তা ছাড়তে চায়না ফুটপাত ব্যবসায়ীরা।
এদিকে গত ১০ মার্চ সাংবাদিক আব্দুল খালেক জালাল মার্কেটের সামনে সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। জানজট নিরসনে গত বছর গোদাগাড়ী পৌরসভার মাধ্যমে দুইজন আনসার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, কি কারণে আনসারদের তুলে নেয়া হয়েছিল সেটা কারও জানা নেই।
পৌরসভার মাধ্যমে আবারও যেন একজন আনসার নিয়োগ দেয়া হয় সে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
গোল চত্তর থেকে কাকনরোড, নেসকো বিদ্যুৎ অফিস এর সামনের রাস্তাটিতে পিকাপ, নসিমন, করিমন, ভ্যান, রিক্সা দাঁড়িয়ে থাকে, পুরো রাস্তাটি অপেক্ষমান গাড়ীর দখলে। যাতায়াতের পথ একেবারে ক্ষিণ হয়ে এসেছে। এ সমস্ত পিকাপ, নসিমন, করিমন, ভ্যানগুলো যদি আর একটু সামনে এগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে বিড়ম্বনা অনেকাংশে কমে যাবে।
গোল চত্তরের পাশ দিয়ে ৫টি রাস্তা বের হয়েছে। পাঁচ মাথার শুরুতেই সকাল-বিকেল জানজট লেগেই থাকে। কেউ শুনেনা কারও কথা। এযেন সবাই রাজা।
বিষয়গুলো দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সবিনয় নিবেদন করেছেন স্থানীয়রা।