অনলাইন ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ‘জিম্মি করে অস্ত্রের মুখে বিবৃতি আদায়ের’ প্রতিবাদে এবং গুম-গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ছাত্র-জনতা হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি)। আজ সোমবার বেলা সোয়া তিনটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের (শহীদ রুদ্র তোরণের) সামনে এই কর্মসূচি চলে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির অন্যতম সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ, লিডিং ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল কাসেম আজাদ, মুরারিচাঁদ কলেজের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার, সিলেটের গোয়াইনঘাট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আজমল হোসেন প্রমুখ।
আন্দোলনের শাবিপ্রবির সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘যাঁরা আমার আবু সাঈদ ভাইকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই রুদ্রসহ অন্যদের গণহারে হত্যা করেছেন, তাঁদের আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমরা খুনির কাছে খুনের বিচার চাই না। খুনির কাছে খুনের বিচার চাওয়ার জন্য আসি নাই। জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুনে বলা হয়েছে, “কারাগার বড় করুন, আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হব।”
ফয়সাল হোসেন আরও বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে আমার ভাইদের ওপর নির্বিচার গুলি করা হচ্ছে। চারদিকে চলছে গণগ্রেপ্তার। আমাদের সমন্বয়কদের তুলে নেওয়া হয়েছে। আমরা সরকারের এই ন্যক্কারজনক কাজের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ছাত্রসমাজের ৯ দফা দাবি যদি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা এক দফা দাবি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব।’
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শাবিপ্রবি, সিলেট’ ব্যানারে এই কর্মসূচিতে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। বেলা সোয়া তিনটার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন তপোবন আবাসিক এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ফটকে আসে। পরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, পুলিশ তোদের রক্ষা নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালাও এক সাথে’, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
অস্ত্রের মুখে ছাত্রদের এটা সেটা বলিয়ে নেয়া এটা মহা অন্যায়। এটা ন্যয় বিচারের পরিপন্থী?
@প্রথম আলো: