সাইফুল ইসলাম, রাজাবাড়ী:
বংস পরামপরায় পুরানো ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও জীবন জীবিকার তাগিদে ২৫ থেকে ৩০ কিলো: পায়ে হেটে আবহমান গ্রাম বাংলার বিভিন্ন এলাকায় ৪৪ বছর যাবত বাঁশের তৈরি (হস্ত শিল্প) সরপেস, ঝাঁকা, টাপা, কুলা, চালুন মাটি বহনের কাজে ব্যহত ডালি, বড়ি শোকানো বানা, সহ হরেক রকমের মালামাল বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন ৬৬বছর বয়সী এক বৃদ্ধ।
তিনি হলেন রাজশাহী জেলার মোহন উপজেলার ফুলসু গ্রামেম মৃত গাফফার হোসেন এর পুত্র ছালিম উদ্দীন । ১২ নভেম্বর রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি হাটে দেখা হয় ভ্রাম্যমান হস্তশিল্প বিক্রেতা ছালিম উদ্দীন এর সাথে। তিনি এক আলাপ কালে এ প্রতিবেদককে বলেন ১৯৫৮ সালে তার জন্ম প্রাথমিক বিদ্যালয় এর গণ্ডি পেরিয়ে লেখাপড়ায় আর এগোতে পারেননি অর্থাভাবে । বাবা ছিলেন একজন (হস্তশিল্প) বিক্রেতা । বাবার পেশা ধরে রাখার উদ্দেশ্যে বাবার সঙ্গে ৮ বছর ট্রেনিং নেন হস্তশিল্প তৈরির উপর । এরপর ১৯৮০ সালে শুরু করেন (হস্ত শিল্প) বিক্রয়ের কাজ। নিজ উপজেলার মোহনপুরের কেশর হাট থেকে ৪০০০হাজার থেকে ৫০০০ হাজার টাকার কুলা,ঝাটা,চালুন,ঝাকা,সরপেস, বড়ি শুকানো বানা,সহ হরেক রকমের মালামাল( হস্তশিল্প )নিয়ে রাজশাহী জেলার কয়েকটি উপজেলায় বিক্রি করে আসছেন।তিনি জানান ৪০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার মালমাল (হস্তশিল্প) বিক্রি করলে১০০০থেকে দেড় হাজার টাকা লাভ হয় । নিজস্ব কোন জমি-জামা নেই বৃদ্ধ ছালিম উদ্দিনের।
এ আয় থেকেই চলে তার সংসার। ইতিমধ্যে হস্তশিল্প বিক্রি করে এ আয় থেকেই ২টি ছেলে ও একটি মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন ছালিমুদ্দিন । বর্তমানে ছেলেমেয়েরা সবাই ভালো আছে, দুঃখের বিষয় হলো ৭ বছর হল আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি আপাতত এখনো সুস্থ আছি, ভেবেছি যতদিন বেঁচে আছি, কারো কাছে যেন হাত না পাততে হয়, তাছাড়া একাই বাসায় বসে থেকে সময় কাটে না তাই পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করে আসছেন।
তিনি আরো জানান যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন বাবার পেশা ও পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকবেন বলে জানান ৬৬ বছর বয়সি বৃদ্ধ ছালিমুদ্দিন ।
















