এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির:

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলের    বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গত ৬দিনের টানা প্রবল বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডের ২ হাজার পরিবার। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। স্থানীয়দের দাবি রাস্তাঘাট সংস্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার।

সোমবার (৭ জুলাই) সরেজমিনে পৌর শহরের একাধিক সড়কগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, ৬ দিনের টানা বর্ষণে ৯টি ওয়ার্ডের বাইপাস সড়ক ও আঞ্চলিক মহা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতায়। পানির স্রোতে ভেঙ্গে পড়েছে কার্পেটিং রাস্তা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসী। পৌর শহরের ১, ২, ৩, ৪, ৫,৬, ৭ নং ওয়ার্ড উত্তর সরালিয়া, পূর্ব সরালিয়া, কলেজ রোড, আর্দশ পাড়া, কৃষি ব্যাংক সড়ক, বারইখালী পুরাতন থানা রোড, টিএনটি রোড, কাঁলাচাদ মাজার রোড, ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গিয়ে প্রায় ২ হাজার পরিবার জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর থেকে বের হতে পারছে না। অনেক পরিবারের দুপুরের রান্না খাওয়া বন্ধ রয়েছে। স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে। অসুস্থ বৃদ্ধদের চিকিৎসায় নিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। পৌর শহরে জলাবদ্ধতার কারনে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি পচে গিয়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে।

এ ছাড়াও উপজেলার মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা, হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা, বারইখালী ইউনিয়নের কাশ্মিরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে টানা বর্ষণে ৩০ গ্রাম তলিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কথা হয় পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমাজ সেবক সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান নান্নু, মিজানুর রহমান, শামিম আহসান, শ্রমিক লোকমান শিকদার, বাবু সরদার, রোকেয়া বেগম, হনুফা বেগম, বজলুর রহমান ডাবলু, নাজমুল হাওলাদারসহ একাধিক বাসিন্দারা বলেন, পৌরসভার বাসিন্দা হয়ে নিয়মিত ট্যাক্স পরিশোধ করেও কাঙ্খিত নাগরিক সেবা পাচ্ছি না। এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়? সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে থাকে রাস্তায়। পানি নামানোর কোন ব্যবস্থা নেই। ভাঙ্গা রাস্তাগুলো সংস্কার ও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা হলে এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবো। তারা পৌর প্রশাসকের কাছে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের জোর দাবি জানান।

এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার প্রশাসক হাবিবুল্লাহ বলেন, মোরেলগঞ্জ পৌরসভার রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সমস্যা দীর্ঘদিনের। এটি সমাধানের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে নতুন করে ২/৩ টি রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।