اللهُ اكبَرُ، اَللهُ اكْبَرُ- اَللهُ اكْبَرُ، اَللهُ اكْبَرُ- اَللهُ اكْبَرُ، اَللهُ اكْبَرُ- اَللهُ اكْبَرُ، اَللهُ اكْبَرُ، اَللهُ اكْبَرُ.
اِنَّ الحَمْدَ للهِ، نحمدُ ونستعيه ونستغفره ونعوذبا الله من شرورِ اَنْفُسِنَا ومِنْ سَيِّاتِ اْعْمَالنَا مَنْ يهده الله فلا مضل لهُ ومنْ يضل فلا هَادِيَ لهُ وَاشهَدُ انْ لا اله الله وحده لا شريك لهُ وان محمدا عبده ورسوله.
يَا اَيُّهَا الّذِيْنَ آمنوا اتقواللهَ حقَّ تُقَاتِهِ وَلا تمُوتُنَّ الا وَانْتُمْ مُسْلِمُوْنَ.
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
﴿ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنۡحَرۡ ٢ ﴾ [الكوثر: ٢] তামরা সালাত পড় ও কুরবানী কর।
﴿لَن يَنَالَ ٱللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَآؤُهَا وَلَٰكِن يَنَالُهُ ٱلتَّقۡوَىٰ مِنكُمۡۚ كَذَٰلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمۡ لِتُكَبِّرُواْ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمۡۗ وَبَشِّرِ ٱلۡمُحۡسِنِينَ ٣٧﴾ [الحج : ٣٧]
‘আল্লাহর নিকট তাদের গোসত এবং রক্ত বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ-প্রদর্শন করেছেন; সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন মুহসিনদেরকে।
এমন পশু দ্বারা কুরবানি দিতে হবে যা শরিয়ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেগুলো হল উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা। এ গুলোকে কুরআনের ভাষায় বলা হয় ‘বাহীমাতুল আন‘আম।’ যেমন, আল্লাহ বলেন-
﴿ وَلِكُلِّ أُمَّةٖ جَعَلۡنَا مَنسَكٗا لِّيَذۡكُرُواْ ٱسۡمَ ٱللَّهِ عَلَىٰ مَا رَزَقَهُم مِّنۢ بَهِيمَةِ ٱلۡأَنۡعَٰمِۗ ٣٤ ﴾ [الحج : ٣٤]
‘আল্লাহ প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কুরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; তিনি তাদেরকে জীবনোপকরণ স্বরূপ যে সকল চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর উপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’

وَ الۡبُدۡنَ جَعَلۡنٰهَا لَكُمۡ مِّنۡ شَعَآئِرِ اللّٰهِ لَكُمۡ فِیۡهَا خَیۡرٌ ٭ۖ فَاذۡكُرُوا اسۡمَ اللّٰهِ عَلَیۡهَا صَوَآفَّ ۚ فَاِذَا وَجَبَتۡ جُنُوۡبُهَا فَكُلُوۡا مِنۡهَا وَ اَطۡعِمُوا الۡقَانِعَ وَ الۡمُعۡتَرَّ ؕ كَذٰلِكَ سَخَّرۡنٰهَا لَكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُوۡنَ
আর কুরবানীর উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন বানিয়েছি; তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে কল্যাণ। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান অবস্থায় সেগুলির উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর যখন সেগুলি কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তা থেকে খাও। যে অভাবী, মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবী চেয়ে বেড়ায়-তাদেরকে খেতে দাও। এভাবেই আমি ওগুলিকে তোমাদের অনুগত করে দিয়েছি; যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

﴿ لِّيَشۡهَدُواْ مَنَٰفِعَ لَهُمۡ وَيَذۡكُرُواْ ٱسۡمَ ٱللَّهِ فِيٓ أَيَّامٖ مَّعۡلُومَٰتٍ عَلَىٰ مَا رَزَقَهُم مِّنۢ بَهِيمَةِ ٱلۡأَنۡعَٰمِۖ ٢٨ ﴾ [الحج : ٢٨]
‘যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদের চতুষ্পদ জন্তু হতে যা রিজিক হিসেবে দান করেছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে।

قُلْ اِنَّنِیْ هَدٰىنِیْ رَبِّیْۤ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ ۚ۬ دِیْنًا قِیَمًا مِّلَّةَ اِبْرٰهِیْمَ حَنِیْفًا ۚ وَ مَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِیْنَ۝۱۶۱ قُلْ اِنَّ صَلَاتِیْ وَ نُسُكِیْ وَ مَحْیَایَ وَ مَمَاتِیْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَۙ۝۱۶۲ لَا شَرِیْكَ لَهٗ ۚ وَ بِذٰلِكَ اُمِرْتُ وَ اَنَا اَوَّلُ الْمُسْلِمِیْنَ۱۶۳-
‘আপনি বলে দিন, আমার প্রতিপালক আমাকে পরিচালিত করেছেন সরল পথের দিকে-এক বিশুদ্ধ দ্বীনের দিকে, অর্থাৎ একনিষ্ঠ ইব্রাহীমের মিল্লাত (তরীকা), আর তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। আপনি বলুন, নিঃসন্দেহে আমার সালাত, আমার নুসুক, আমার জীবন, আমার মৃত্যু সবকিছুই রাববুল আলামীন আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরীক নেই। আমাকে এই আদেশই করা হয়েছে, সুতরাং আমি হলাম প্রথম আত্মসমর্পণ কারী।’

فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ (১০১)فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَابُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَاأَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ (১০২) فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ (১০৩) وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَاإِبْرَاهِيمُ (১০৪) قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (১০৫) إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاءُ الْمُبِينُ (১০৬) وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ (১০৭)
অর্থ; ১০১. সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। ১০২. অতঃপর সে পুত্র যখন ইবরাহীমের সাথে চলাফেরা করার উপযুক্ত হল, তখন সে বলল, বাছা! আমি স্বপ্নে দেখছি কি যে, তোমাকে যবেহ করছি। এবার চিন্তা করে বল, তোমার অভিমত কী। পুত্র বলল, আব্বাজী! আপনাকে যার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে আপনি সেটাই করুন। ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে সবরকারীদের একজন পাবেন। ১০৩. সুতরাং (সেটা ছিল এক বিস্ময়কর দৃশ্য) যখন তারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং পিতা পুত্রকে কাত করে শুইয়ে দিল। ১০৪. আর আমি তাকে ডাক দিয়ে বললাম, হে ইবরাহীম! ১০৫. তুমি স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখিয়েছ। নিশ্চয়ই আমি সৎকর্মশীলদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি। ১০৬. নিশ্চয়ই এটা ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। ১০৭. এবং আমি এক মহান কুরবানীর বিনিময়ে তাকে মুক্ত করলাম।—সূরা সাফফাত , আয়াত ১০১-১০৭
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا عَمِلَ آدَمِيٌّ مِنْ عَمَلٍ يَوْمَ النَّحْرِ أَحَبَّ إِلَى اللهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ، إِنَّهُ لَيَأْتِي يَوْمَ القِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلاَفِهَا، وَأَنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ اللهِ بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ مِنَ الأَرْضِ، فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا
অর্থ: আয়েশা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, কুরবানীর দিন রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে মানুষের অন্য কোনো আমল বেশি প্রিয় নয়। অবশ্যই কুরবানীকারী কিয়ামতের দিন তার কুরবানীকৃত পশুর শিং, পশম ও খুর নিয়ে পুনরুত্থিত হবে। আর কুরবানীর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা এই পশুকে উত্তমভাবে পালন করো। -সুনানে তিরমিজি : ১৪৯৩.
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: . مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ، فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا
অর্থ, যার সামর্থ আছে, কিন্তু কুরবানী করেনি, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।—মুসনাদে আহমাদ : ৮২৭৩

প্রতিটি পশমের বিনিময়ে নেকি হবেঃ
যায়েদ ইবনু আরকম রাদি. থেকে বর্ণিত-
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: قُلْتُ: أَوْ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ مَا هَذِهِ الْأَضَاحِيُّ؟ قَالَ: سُنَّةُ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ. قَالُوا: مَا لَنَا مِنْهَا؟ قَالَ: بِكُلِّ شَعْرَةٍ حَسَنَةٌ. قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ فَالصُّوفُ؟ قَالَ: بِكُلِّ شَعْرَةٍ مِنَ الصُّوفِ حَسَنَةٌ
অর্থ: সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলো, আল্লাহর রাসুল, এই কুরবানী কী? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমাদের পিতা ইবরাহীমের (এক মহাপূণ্যের) স্মৃতি। তারা বলল, তাতে আমাদের জন্য কী মিলবে? তিনি বললেন, প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেক। তারা বললো, (ভেড়ার গায়ে তো অনেক ঘন পশম!) ভেড়ার সম্পর্কে কী বলবেন? তিনি বলেন, ভেড়ার গায়ের প্রতিটা পশমের বিনিময়েও একটি করে নেক (সওয়াব) পাওয়া যাবে। -মুসনাদে আহমাদ :১৯২৮৩

লেখক:
সম্পাদক: জিখবর
পরিচালক-নূরানী কিন্ডারগার্টেন ও হাফেজিয়া মাদরাসা
পরিচালক- এস.কে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এন্ড আইটি
* শিক্ষক, লেখক, সাহিত্যিক, ক্যালিগ্রাফার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও ওয়েবসাইট ডিজাইনার।
01721-031894