নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বহিস্কৃত নেতাদের নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালিত করেছে কেন্দ্রীয় টিম। এই নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিএনপির রাজনীতিতে ব্যাপক বিতর্ক আর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে লক্ষ্য করা গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের সমন্বয়ে ৩১ অক্টোবর যৌথ কর্মী সভা শেষ করে ১ নভেম্বর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান তার নিজ উপজেলায় লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করতে নিয়ে আসেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজিব আহসান কে। ভোলাহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য দল থেকে দ্বিতীয় বারের মতো বহিস্কৃত হয় উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। আর দলের নির্দেশনা অমান্য করে এই বহিস্কৃত নেতা সহ আরও কয়েকজন বহিস্কৃত নেতাদের নিয়ে কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামিউল হক সোহেল। এমনও অভিযোগ উঠেছে বিএনপির জেলা বিএনপির সাথে কোনো যোগাযোগ কিংবা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেননি কেন্দ্রীয় টিম। এবিষয়ে অভিযুক্ত জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মিজু এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামিউল হক সোহেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোন রিসিভ করেনননি। এবিষয়ে ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ ইয়াজদানী জর্জ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ভোলাহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করায় কেন্দ্রীয়ভাবে বহিষ্কার হয় আনোয়ারুল ইসলাম। আর এই বহিস্কৃত নেতা কে দিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন বনভোজন করা ধৃষ্টতার শামিল বলে মনে করি। এমন ধৃষ্টতা দেখানোর তদন্ত পূর্বক শাস্তি দাবি করেন এই নেতা।