আব্দুল খালেক:

গোদাগাড়ী সুলতানগঞ্জ ফেরিঘাট ও বালুঘাট প্রকাশ্যে নিলাম হয়েছে। আজ বুধবার গোদাগাড়ীর এতিহ্যবাহী সুলতানগঞ্জ ফেরিঘাটটির প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতাকে প্রদান করা হয়। গোদাগাড়ী উপজেলা অডিটরিয়ামে প্রকাশ্য ডাকে বারুইপাড়া গ্রামের এনামুল হকের ছেলে সুমনকে ৪ লক্ষ্য ৬০ হাজার এবং ২৫% ভ্যাটসহ মোট ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকায় আগামী ২ মাসের জন্য প্রদান করা হয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী ঘাটটি গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর, হাকিমপুর, সুন্দরপুর, বাগডাঙ্গা, ইসলামপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখান দিয়ে সহজে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু অবহেলিত এ ঘাটটিতে কোন সরকারেরই সুনজর পড়েনি। প্রতি বছরই নিলাম হয়। প্রশাসন নিলামের টাকাগুলো নিয়ে চলে যায় কিন্তু ঘাটটি তার নিজ অবস্থাতেই থেকে যায় বছরের পর বছর। ভোগান্তি হয় পারাপার হওয়া জনসাধারণের। ঘাটটিতে ছোট শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধদের উঠানামার জন্য সিঁড়ি বা অন্য কোন সুযোগ সুবিধা নেই। ফলে নৌকা থেকে উঠা-নামায় বেশ ভোগান্তি হয় সেই সাথে নৌকা থেকে নামার পর উপরে উঠতেও বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। ঘাটের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সিঁড়িসহ রেলিং করার দাবি জানিয়েছেন দেবিনগ ইউনিয়নের ষাটোর্ধ আব্দুর রহমানসহ হাজারো মানুষ। ঘাটটি দিয়ে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু রাতের বেলায় ঘাটটিতে জলেনা কোন লাইট। ইজারাদারদের ঘরের সামনে একটি লাইট জললেও তাতে কোন আলো থাকে না। ঘুটঘুটে অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে থাকে পুরো এলাকাটিতে। গতমাসে সরেজমিনে গিয়ে ইজারাদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাতে লাইট দিলে চোরে এসে নিয়ে যায়। তাই তারা লাইট দিতে তেমন আগ্রহ দেখান না।
গোদাগাড়ীর সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী জনবহুল ও পুরনো এ ঘাটটিতে যদি শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের জন্য রেলিংসহ সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হয় সেই সাথে রাতের বেলায় ফ্লাশ লাইট দেয়া হয় তাহলে এলাকাবাসীর বহুদিনের কষ্ট অনেকাংশে কমে যাবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ঘাটের নতুন ইজারাদার মোঃ সুমন।

অপর দিকে গোদাগাড়ী পৌরসভার বালুঘাট লোড আনলোড প্রকাশ্যে নিলাম হয়েছে।
বুধবার ১৪ মে সকাল ১১টার দিকে উপজেলা অডিটরিয়ামে প্রকাশ্য নিলামে শত শত মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। এতে আগামী ২ মাসের জন্য সর্বোচ্চ দরদাতা বারুইপাড়া গ্রামের আমির জাহানের ছেলে নুর আলম ১১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ও ২৫% ভ্যাটসহ মোট ১৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকায় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। গোদাগাড়ী পৌরসভার সকল বালুঘাট লোড-আনলোড আগামী ২ মাসের জন্য নিলাম প্রদান করা হলো বলে জানিয়েছেন ইঞ্জি: সারওয়ার জাহান।