আশরাফুল ইসলাম ফরাশী, বাগমারা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তাহেরপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪:৩০মিনিটে তাহেরপুর পৌর অডিটোরিয়ামে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য, তাহেরপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক মেয়র আ.ন.ম সামসুর রহমান মিন্টু।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. ফজলুল করিম। তিনি বলেন শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেননি। একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সেক্টর কমান্ডার হিসাবে মেজর জিয়াউর রহমান প্রথম যে কথাটি বলেন, সেটি হলো যদি একটি বুলেট আসে প্রথমে তা আমার বুকে লাগবে। তার সেই কথায় সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা অনুপ্রানিত হয়েছিলো। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।
অনুষ্ঠানে আগত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ বিভাগের ডীন প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন অবিসাংবাদিত নেতা। তিনি যদি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতায় থাকতেন বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের শিখরে পৌঁছে যেতো। আরেক বক্তা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ – রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মাসুদুর রহমান খান বলেন, একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন ভারতে পালাতে ব্যাস্ত তখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিবারের ও নিজের জীবনের কথা না ভেবে বুক ভরা সাহস নিয়ে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শ ছিলো সততা তার দেশপ্রেম।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধো উপস্হিত ছিলেন, তাহেরপুর পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলিম বাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাগাতী, তাহেরপুর পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলাল উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক আল আমিন এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল ফরাসী, তাহেরপুর পৌর যুবদলের যুগ্ন- আহ্বায়ক মান্নান প্রাং ও জাহিদুল ইসলাম ,তাহেরপুর পৌর সেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম ও আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম এবং যুগ্ম- আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম , যুবনেতা সুজন, হালিম,জুয়েল, বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদল,যুবদল সহ জেলা ও তাহেরপুর পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।