আব্দুল খালেক:

গোদাগাড়ী রাজশাহী :- আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী -১ গোদাগাড়ী আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কর্মী-সমর্কদের নিয়ে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশসহ জনসংযোগ করছেন তারা।

গোদাগাড়ী তানোরের এ আসনটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াত অধ্যুষিত হওয়ায় এ আসনে বিএনপি জামায়াতের লড়ায় হবে হাড্ডাহাড্ডি। বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে প্রার্থী বাছায়ে ভুল করলে এর মাশুল দিতে হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা।

এলাকায় জামায়াতের জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে। বিএনপি বড় দল হলেও জামায়াত একটি সুসংগঠিত দল। তবে জামায়াতের দীর্ঘদিন মাঠ পর্যায়ে অনুপস্থিত থাকায় বিএনপি এটিকে সুবিধা হিসাবে বিবেচনা করছে ।   মনোনয়ন নিয়ে দলীয় বিভাজন স্পষ্ট হলেও প্রার্থী চুড়ান্ত হলে সবাই একসাথে কাজ করবে বলে মনে করছেন দলের ত্যাগিরা।

সংসদীয় আসন-৫২, রাজশাহী -১ গোদাগাড়ী- তানোর আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান এবং বিএনপির রয়েছে একাধিক প্রার্থী।
এদের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন, বিএনপি চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিন, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক,  গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য, এডভোকেট মো. সুলতানুল ইসলাম তারেক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কেএম জুয়েল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ব্যারিষ্টার মাহফুজুর রহমান (মিলন)। এছাড়াও বিএনপির আরো কয়েকজন প্রার্থীর নাম শুনা গেলেও কার্যত তাদের দেখা যাচ্ছে না ভোটের মাঠে।

এডভোকেট মো. সুলতানুল ইসলাম তারেক বলেছেন, বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে গোদাগাড়ী এবং তানোর উপজেলায় শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে। এই ২ উপজেলায় মানুষের কর্মের বড়ই অভাব। কর্মহীন বসে থাকার ফলে তরুন যুবকেরা মাদকের দিকে ঝুঁকছে। এতে যেমন পারিবারিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তেমনই সমাজে চুরি, ছিনতাই, অপকর্ম বাড়ছে। মানুষের কর্ম থাকলে এমন অপকর্মে জড়িত হবে না তারা। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই এলাকায় শিল্প কারখানা গড়ে তুলবো। নারী উদোক্তাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা রাখা হবে। নারীরা স্বাবলম্বী না হলে দেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এসময় কবি নজরুল ইসলাম রচিত একটি কবিতার লাইনের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বে যা কিছু সৃষ্টি চির কল্যানকর,অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর”। তাই নারীদের উন্নয়নের ভূমিকায় এগিয়ে এসে দেশকে সমৃদ্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার এই নির্বাচনী এলাকা গোদাগাড়ী – তানোর। এই অঞ্চলে বিগত সরকারের আমলে উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য কেউ ভাবেনি। আমি শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্যে ২ উপজেলায় দুটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মান সহ কারিগরি শিক্ষায় অবদান রাখতে চাই। এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারে।

ইঞ্জিনিয়ার কে. এম জুয়েল বলেন ভিআইপি এ আসনটিতে অনেক কিছুই করার দরকার ছিল কিন্তু করেনি বিগত আমলে কেউই। কাকনহাট, ললিতনগর, রিশিকুলসহ বরেন্দ্রাঞ্চলের চিকিৎসা নিতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়, সে জন্য ওই অঞ্চলে একটি আধুনিক হাসপাতাল করা হবে। সেই সাথে কাকনহাটে একটি থানার প্রয়োজন। সেটিও আমার বিবেচনায় রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন বস্ত্র সব কিছুতেই অভুতপূর্ব পরিবর্তন করব ইংশাআল্লাহ।