গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
গোদাগাড়ী উপজেলার চম্পকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। পার্শ্ববর্তী এলাকার ৩ জনকে চাকুরী দিয়ে এই নিয়োগ বানিজ্য করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি (ধান ব্যবসায়ী) আলকাস উদ্দীন, প্রধান শিক্ষক মোশাহাক আলী ও সহকারী শিক্ষক (ক্রীড়া) মাসুদ রানা।
এ বিষয়ে ৭ আগষ্ট ১নং গোদাগাড়ী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য নাইমুল হক বাদী হয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, জসিম উদ্দিন (নৈশপ্রহরী), শ্রী বিরণ (পরিচ্ছন্নতা কর্মী) ও শিরিন শিলাকে (আয়া) পদে নিয়োগ দেন তারা।
নিয়োগের ভিত্তিতে ৩ জনের কাছে মোট ৪৫০০০০০ (পয়তাল্লিশ লক্ষ) টাকা গ্রহণ করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি (ধান ব্যবসায়ী) আলকাস উদ্দীন, প্রধান শিক্ষক মোশাহাক আলী ও সহকারী শিক্ষক মাসুদ রানা।
চুক্তি অনুযায়ী নিয়োগ বানিজ্যের অর্থ দিয়ে স্কুলের মাঠের জন্য জমি ক্রয়ের কথা ছিল। কিন্তু সেই কথা রাখেননি কমিটির সভাপতি এবং শিক্ষকরা। এতে এলাকাবাসী ও সাধারণ ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ২৫ আগস্ট বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন অনতিবিলম্বে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতিতে অপসারণ করতে হবে। সেই সাথে গ্রহণকৃত সকল টাকা ফেরত দিতে হবে। এমন দুর্নীতিবাজ সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক চায়না এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী বলেন সভাপতি আলকাস আলী হজ্জ করে এসেও পাঞ্জাবী-টুপির মধ্যে ঘুষ বাণিজ্য করছে। এদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মানববন্ধনের দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরজমিনে গিয়ে আন্দোলনকারীদের শান্ত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়ে ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস প্রদান করেন।