আব্দুল খালেক : ডাইংপাড়া বণিক সমিতির উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দোকান খোলা নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ডাইংপাড়া বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্জ্ব শামসুল হকের নেতৃত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, শামসুজ্জোহা বাবু, আব্দুল খালেক, আব্দুল্লাহ প্রমুখ। বণিক সমিতির পক্ষ থেকে করোনাকালীন স্বাস্থবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে ব্যবসা করার অনুমতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও আবেদন করা হয় জরিমানা না করে ব্যবসায়ীদের একটু ছাড় দেয়ার জন্য। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আইনের বাইরে তিনি কিছুই করতে পারবেন না বলে জানান। এছাড়াও তিনি আরো জানান আগামী ২৮ তারিখের আগে দোকানপাট না খোলার জন্য। তবে সরকার যদি আগামী সোমবারের মধ্যে শিথিল করে তাহলে গোদাগাড়ীতেও শিথিল হবে বলে জানিয়ে দেন। ইফতারির দোকান ৬টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
প্রসঙ্গ: করোনার কারণে গত ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখ থেকে লকডাউন তার পর কয়েকমাস দোকান খোলা থাকলেও করোনার প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ১ এপ্রিল থেকে পুন:রায় লকডাউন দেয় সরকার। মাঝে ৫ দিন পর আবারো ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আর এর কারণে ব্যবসায়ীরা দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন, এনজিও/ব্যাংক ঋণসহ সংসার সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে কোনরকম অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে একটু আধটু একটি করে সাটার খুলে কোন রমক দোকান চালাচ্ছিল কিছু ব্যবসায়ী। আর এ অবস্থা প্রশাসনের নজরে আসলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলম প্রতিদিনই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দোকান/ প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেন। এরই ধরাবাহিকতায় বণিক সমিতির সদস্যরা আজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মতবিনিময় করে বিষয়টি নজরে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাফ জানিয়ে দেন যে, কোন প্রকার দোকান পাট খোলা যাবে না।