প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা গোদাগাড়ীতে স্বামী স্ত্রীর কামড় আতঙ্কে আতঙ্কিত গ্রামবাসী

গোদাগাড়ীতে স্বামী স্ত্রীর কামড় আতঙ্কে আতঙ্কিত গ্রামবাসী

257
0

সারওয়ার জাহান সবুজ:

স্বামী স্ত্রীর কামড় আতঙ্কে আতঙ্কিত গ্রামবাসী। স্বামী স্ত্রীর কামড় আতঙ্কে আতঙ্কিত গ্রামবাসী বাদ যায়নি শিশুসহ নারীরাও! রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার প্রেমতুলি ডুমুরিয়া পালপাড়া এলাকায় একই পরিবারের চার জনসহ গ্রামের অনেকেই কামড়/মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। অভিযোগ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানাজায় দেলোয়ার হোসেন (৩২)পিতা আরশাদ, সালমা (২৮) স্বামী দেলোয়ার, স্বামী স্ত্রী উভয়ে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে গ্রামের অনেককেই এরকম মারধর/কামড়ে দেয়! এই নিয়ে গত ১৬/০৯/২৩ ইং তারিখে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জাকির হাসান। জাকির হাসান বলেন আমার ছোট ভাগ্নি আখি (২) বাড়ির পাশে মাটি নিয়ে খেলছিল, দেলোয়ার তার স্ত্রী সালমা সহ চারজন কোন কারণ ছাড়ায় আমার পরিবারকে তেড়ে মারতে আসে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের কারণে তারা চলে যায়। পরের দিন সকালে আমি যখন কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হই তখন দেখি দেলোয়ার আমাদের সীমানায় বাঁশ পুঁতে দিচ্ছে এমন সময় আমি বাধা দিতে গেলে দেলোয়ার আতু ও দেলোয়ারের স্ত্রী সালমা আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করে এবং আমার বাম পাশে বাহুতে কামড় বসিয়ে দেয়! আমার বোন কেউ দেলোয়ার লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে এবং তার বাম হাতের আঙ্গুল ও পিঠে কামড় দেয়। আমার ছোট ভাই বাঁচাতে এলে তাকেও বাঁশ দিয়ে পেটাতে থাকে এবং বাম হাতে কামড় বসিয়ে দেয়, আমার মা এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে এবং তার সামনের দুটি দাঁত ভেঙে যায়! আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনা স্থানে গেলে গ্রামবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে কাউকে যেকোনো সময় এভাবে মারধর করে দেলোয়ার। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নয়নের কাছের লোক হওয়ায় কেউ তাকে কিছু বলার সাহস করতে পারেনা এমনকি প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রেও তাদের নামে কোন অভিযোগ নিতে চাই না, তবে এবার আমরা গ্রামবাসী একতাবদ্ধ হয়েছি তাদের একটি বিহিত করা দরকার। গ্রামবাসীর গন স্বাক্ষরকিত একটি কাগজ তুলে দেন গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে। এ বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা মার ধরে শিকার হয়েছি এবং একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি আইনে যেটা হয় সেটাই মেনে নিব।মাটিকাটা এক নাম্বার ওয়ার্ড মেম্বার নয়নের সাথে কথা হলে তিনি বলেন উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে একটা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম বলেন উভয়পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।