গোমস্তাপুর( চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ডাকাতি প্রবণ সড়কগুলো পুলিশী টহল না থাকায় প্রায় প্রতি রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সড়কগুলোতে পুলিশী টহল প্রত্যাহার করে নেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।দেশে ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে থানা পুলিশের কার্যক্রম সীমিতভাবে চালু হলেও  উপজেলার ডাকাতি প্রবণ সড়কগুলোতে স্থায়ী পুলিশী টহল এখনও চালু না থাকায় ছিনতাইকারী ও ডাকাতের উপদ্রুব অনেকাংশে বেড়ে গেছে।গত শনিবার ভোরে আড্ডা – সরাইগাছী আঞ্চলিক মহাসড়কের মাগুরশহর এলাকায় যানবাহনে গন ডাকাতি করার সময় এক ডাকাতকে আটক করে স্থানীয়রা।উপজেলার ডাকাত প্রবণ সড়কগুলোর মধ্যে রয়েছে, রহনপুর -আড্ডা – সরাইগাছী, বোয়ালিয়া -নরশিয়া,চৌডালা -কানসাট ও বেলালবাজার- আড়গাড়াহাট আঞ্চলিক সড়ক। আগে রাতে এ সড়কগুলো সার্বক্ষণিক পুলিশী টহল জোরদার থাকায় ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা তুলনামূলক কম ছিল।
কিন্তু বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতির সুযোগে অপরাধীরা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে চৌডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হাবিব জানান,৫ আগস্টের  সড়কগুলোতে পুলিশী টহল বন্ধ থাকায় প্রায় প্রতি রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।তিনি তার এলাকার সড়কগুলোতে দ্রুত স্থায়ী পুলিশী টহল জোরদার করার দাবী জানান তিনি । একই প্রসঙ্গে পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান,  আগে আমার এলাকায় রাতে গোমস্তাপুর থানার ২ টি টহলদল সড়কে অবস্থান করতো।
বর্তমানে পুলিশ টহল না থাকায় রহনপুর -আড্ডা -সরাইগাছি আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতে নিরাপত্তা   ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আমরা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছি। এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে থানা পুলিশের কার্যক্রম সীমিত ভাবে চালু করা হয়েছে। অচিরেই পুলিশের কার্যক্রম  পূর্ণাঙ্গ চালু হলেই  রাতে সড়কগুলোর পরিস্থিতি ভালো হয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।