গোমস্তাপুর( চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হোমিও কলেজে চলমান সাবেক ও বর্তমান অধ্যক্ষের চলমান দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে অচলাবস্থা সৃষ্টির আশংকা দেখা দিয়েছে।গত ৭ বছর যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসলেও চলতি বছর তা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।চলতি মাসে একে অপরের বিরুদ্ধে সভাপতির নিকট  অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ দায়ের।  একজন এলাকাবাসীকে নিয়ে, অন্য কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে বিক্ষোভ পাল্টা বিক্ষোভের কর্মসূচি প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে।অবিলম্বে দুই অধ্যক্ষের অবসান ঘটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।এছাড়া, সাবেক ও বর্তমান অধ্যক্ষের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন।ঘটনা প্রবাহে জানা যায়, ওই কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ মফিজউদ্দিন গত ২৮ মার্চ বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে ওই কলেজের সভাপতি ও ইউএনওকে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।এ বিষয়ে ইউএনও, সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে অভিযোগগুলো তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত ২৮ মে ওই কর্মকর্তা ইউএনওকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাতে ওই কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর সত্যতা খুঁজে পাননি।ছাত্রজনতার আন্দোলনের বর্তমান প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে প্রায় একই অভিযোগগুলোকে ইস্যু করে কিছু এলাকাবাসীকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল ও ইউএনওকে স্মারকলিপি প্রদান করে।এর প্রেক্ষিত গত রোববার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুল্লাহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল ও ইউএনওকে স্মারকলিপি প্রদান করে।বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ মফিজউদ্দিন জানান,গত ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর তাকে ৬ মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হলেও তিনি গত ৭ বছর যাবত অবৈধ ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এছাড়া তার ৭ বছরের কার্যকালে তিনি নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছেন।এ কারণেই আমরা তার অপসারণ দাবি করছি।সাবেক অধ্যক্ষের অভিযোগ প্রসঙ্গে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুল্লাহ জানান,সাবেক অধ্যক্ষের ছেলেকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেয়ায় তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে চলছেন।স্থানীয়ভাবে আমার বিরুদ্ধে করা তার অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমানিত হলেও তিনি দেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধ সুযোগ নিতে চাচ্ছেন।যা প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর।এ প্রসঙ্গে কলেজের সভাপতি ও ইউএনও নিশাত আনজুম অনন্যা জানান, সাবেক অধ্যক্ষ একটি মিমাংসিত ইস্যুকে পুনরায় সামনে নিয়ে এসেছেন। সাবেক ও বর্তমান অধ্যক্ষের তাকে দেয়া অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ বিষয়ে তিনি জানান, তাদের নিজ নিজ দায়িত্বে তা নিরসনের জন্য বলা হয়েছে।