আব্দুল খালেক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাংবাদিকের উপর মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। আজ ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫খ্রি. ক্যাম্পাসে তাজ নিজ বাসায় কাজের মেয়ে মোসাঃ রুবিনা আক্তারকে দীর্ঘসময় দেখতে পেয়ে ওই অফিসে কর্মরত ববিতা নামক এক মহিলা বাইরে থাকা কিছু এলাকাবাসীকে খবর দিলে তারা হাফিজুরের বাসায় এগিয়ে গিয়ে দরজায় কড়া নেড়ে তাদেরকে বের করে এবং অশ্লীল কাজে জড়িত থাকার অপরাধে জেরা করা হয়। কথাবার্তা শেষে এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে চলে আসে। পরে ১ মার্চ ১৫৪ ধারায় হাফিজুর রহমান সাংবাদিক অলিউল্লাহকে ১নং আসামী করে ৯ (নয়) জনের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী থানায় মামলা রুজু করে যাহার মামলা নং ১/৮৮। এ মামলায় সকলেই জামিনে আছে। ওই মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই কাজের মেয়ে রুবিনা আক্তার নিজের অপরাধ ঢাকতে বাদী হয়ে গত ৬ এপ্রিল ১০৭ ধারামতে ইউএনও অফিস স্টাফসহ সাংবাদিক অলিউল্লাকে ১নং আসামী করে আবারো মামলা দায়ের করে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সাংসাদিক ও এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এদিকে ইউএনও’র কাজের মেয়ে রুবিনা আক্তার এর স্বামী মোঃ আসলাম আলীকে মানববন্ধনের মাঝে প্রথম সারিতে প্লেকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। প্লেকার্ডে লেখা ছিল ‘‘আমার বউ ফেরত চাই প্রতারক হাফিজের বিচার ও অপসারণ চাই”। আসলাম আলীর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন রাজশাহী তার বউকে আনতে গিয়ে তার বউ তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে, তার নিজ বাড়ী থেকে বের করার জন্য চক্রান্ত করছে। তিনি আরও বলেন সরলতার ফাঁদে ফেলে তার নিজ বাড়ীটি প্রতারণা করে রুবিনা নিজ নামে লিখে নিয়েছে। এখন তাকেই সেই বাড়ী থেকে বের হয়ে যেতে বলেছে। বের না হলে পুলিশের মাধ্যমে বের করে দিবে বলে হুমকি দিয়ে চলেছে। বিষয়গুলো বর্তমানে উপজেলায় টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
এ সকল বিষয়ে সাংবাদিকসহ অফিস স্টাফরা অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদের দিকে। তিনি বিষয়টি মিমাংসার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। তিনি বিষয়টি মিমাংসা করে দিলে ঘটনা এত বড় হতো না। বর্তমান ইউএনওকে আরো জনবান্ধব হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।