আব্দুল খালেক: গোদাগাড়ী পৌরসভা যেন ময়লার স্তুপে পরিণত হয়েছে।
গোদাগাড়ী পৌরসভা একটি মডেল পৌরসভা হলেও এ পৌরসভার কোথাও কোন ডাস্টবিনের দেখা মিলবে না। দোকানীরা দোকানের সমস্ত ময়লা পরিস্কার করে রাস্তার উপরে ফেলে রাখে। গোদাগাড়ী গোল চত্তর থেকে থানা রোডের প্রবেশ পথে রাস্তার দু’ধারে ফুটপাত। পসরা বসিয়ে বেচাকেনা করা হচ্ছে ডিম ও ফলমুল। একটু পার হতেও দেখা মিলবে সবজি বাজারের। পুরো সকাল বেলাটা সবজি ব্যবসায়ীদের দখলে থাকে। পাশে থাকে কলা ব্যবসায়ী ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কলার খোসা, সবজির উচ্ছিষ্ট ও বিভিন্ন ধরনের পলিথিনের আবর্জনা পথচারীদের বিরক্তির কারণ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফুটপাত অপসারণ দরকার বলে মনে করেন পথচারীসহ সকল ব্যবসায়ী।
থানার পাশের দোকানগুলোর ময়লা আবর্জনা ফেলে সামনের ড্রেনটিকে বন্ধ করে দিয়েছে।
ডাস্টবিন না থাকায় বিশ্বরোডের পাশের সকল দোকানদার তাদের দোকানের সকল ময়লা ঝাড়ু দিয়ে রাস্তার উপর ফেলে দেয়। উক্ত ময়লা গাড়ীর বাতাসে পুন:রায় দিগ্বদিকে ছুটে বেড়ায়। বৃষ্টি হলে ময়লাগুলো কাদায় পরিণত হয়।
বন্ধু ফার্মেসী হতে ইসলামী ব্যাংক পর্যন্ত রাস্তাটির পশ্চিম দিকের দোকানদারগুলোর আসবাবপত্র রাস্তার উপরে রাখায় মসজিদে যাতায়াতকারী মুসল্লীদের প্রচুর ভোগান্তি হয়। অভিযোগ করে এক মুসল্লী বলেন এ ব্যাপারে আপনারা লিখালেখি করেন না কেন? যদি মানুষের ভোগান্তি তুলে না ধরবেন তাহলে কেমনে হবে।
উপজেলা পরিষদ এর সামনের জায়গাগুলোতে ময়লার স্তুপ জমে আছে। দেখতে একদম অরুচিপূর্ণ মনে হয়। ময়লাগুলো এখানে না ফেলে অন্য কোন জায়গায় ফেলা উচিত বলে মনে করেন সাধারণ জনগণ।
গোদাগাড়ী পৌরসভায় ডাস্টবিন সুবিধা না থাকায় এ জায়গাগুলো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
গোদাগাড়ী উপজেলার সামনের জায়গাগুলোতে যত্রতত্র দোকানের অনুমতি না দিয়ে যদি স্থায়ী কিংবা অস্থায়ীভাবে দোকানঘর তৈরি করে দেয়া হয় তাহলে অনেক বেকার যুবক ব্যবসা করে তারা জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। অপর দিকে এ দোকানগুলোর ভাড়া উঠিয়ে সরকারও বিশাল অংকের রাজস্ব পাবে।
গোদাগাড়ী পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার সারওয়ার জাহানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ডাস্টবিন রাখার জায়গা নেই।
গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফয়সাল আহমেদকে একটি মিটিং এ ডাস্টবিনের কথা বললে তিনি বলেন প্লাষ্টিকের ডাস্টবিন চুরি হয়ে যাবে। এ ছাড়াও ডাস্টবিন রাখার জায়গা নেই বললেই চলে, সে সময় ইঞ্জিনিয়ার সারওয়ার জাহানও উপস্থিত ছিলেন।
ডাস্টবিনের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেন গোদাগাড়ী ডাইংপাড়া বণিক সমিতির সভাপতি মিলন সাহেবসহ সকল ব্যবসায়ী।