আব্দুল খালেক,
সম্পাদক, জিখবর
গোদাগাড়ী পৌরসভায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে তাদের কাজে। দীর্ঘদিনের স্থবিরতা থেকে বের হয়ে এসেছে বর্তমান পৌর প্রশাসনে। বর্তমান অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের মেয়াদে পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ফয়সাল আহমেদের নেতৃত্বে এই পরিবর্তন সূচীত হয়েছে। এক দিকে যেমন পৌর ভবনের অভ্যন্তরীন সাজ সজ্জাসহ বিল্ডিং এর নতুনভাবে রং করা হয়েছে। অন্য দিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ সময়ের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। যার ফলে সবার মাঝেই নব উদ্যোমে কাজ করার মানষিকতা তৈরি হয়েছে।
এই প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বিগত সময়ে পৌরসভা থেকে মৃত্যু ও অবসরগ্রহণকারী কর্মচারীদের প্রাপ্য আনুতোষিক ভাতা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে প্রদান করা হচ্ছে।
উল্লেখ থাকে যে বিগত সরকারের আমলে প্রশাসনের খামখেয়ালী আচরণের কারণে পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা মাসিক বেতন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন । যার ফলে তাদের কর্মস্পৃহা কমে গিয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী জানান বিগত পলাতক মেয়রের হাত পা ধরে অনেক কান্নাকাটি করেও তারা তাদের নায্য বেতন পাননি। এ অচল অবস্থা শুরু হয়েছিল বিগত মেয়রের আগে থেকেই।

কর আদায়কারী মানিক জানান বিগত সময়ে আমরা নিদারুন কষ্টে ছিলাম। বকেয়া বেতন পেয়ে খুব খুশি।
উচ্চমান সহকারি শফিকুল ইসলাম জানান সাবেক মেয়র আমাদের বেতনগুলো বকেয়া রেখেছিল। বর্তমান প্রশাসক আমাদের বকেয়া ছয় মাসের বেতন পরিশোধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
সাঁটলিপিকার এটিএম সালাহ উদ্দীন বলেন বর্তমান প্রশাসক ফয়সাল আহমেদ আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে অনেক উপকার করেছেন। এতে আমি এত পরিমাণ খুশি যে ভাষায় প্রকাশ করার নয়।
বর্তমানে গোদাগাড়ী পৌরসভায় সকল প্রকার লেন-দেন হয় ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে। বিধায় হিসাব নয়-ছয় করার কোন সুযোগ নেই। এর ফলে হিসাবে এসেছে স্বচ্ছতা।