আব্দুল খালেক:  রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ৪৫০ এর অধিক খাস পুকুরের রিট বাতিল করা হয়েছে।
গোদাগাড়ীর একটি বড় সিন্ডিকেট জালিয়াতির মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে পুকুরগুলো ভোগ দখল করে খাচ্ছিল বলে জানা যায়। এর ফলে শরিফুল ইসলাম বিষুর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। অপর দিকে গোদাগাড়ীর সাধারণ জনগণ পুকুরগুলো লিজ নিয়ে চাষ করতে পারবেন। পুকুরের সকল নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেল উপজেলা প্রশাসন। এর দ্বারা শত কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হবে সরকারের কোষাগারে।

জাল জালিয়াতির মাধ্যমে চালান, জাল দলিল তৈরি করে চক্রটি উচ্চ আদালতে রিট করে। তৎক্ষনাৎ উচ্চ আদালত সেসব দলিলের সত্যতা যাঁচাই করতে না পারলেও পরে নিশ্চিত হন যে, সেগুলো অসত্য ও ভুয়া।

 

রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদেশ জারি করা হলেও সারা বছরে এসব রিটের আর কোনো খোঁজখবর থাকে না। কিন্তু ওই সবপুকুর ইজারার জন্য তালিকা প্রকাশ করে শেষ মূহূত্বে রিটের কারেনে আর ইজারা দিতে পারেন না প্রশাসন।

পুকুর চুরির বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ বুঝতে পেরে পুকুর জালিয়াতি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন। গত ২৫/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদের সভাপতিত্বে গোদাগাড়ী উপজেলা জরমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান নেয়া হয়। ১০৪৪৬/২০২৩ নং রিট বাতিল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। মাধবপুর রাংগামাটি মৎসজীবিসমবায় সমিতি লি. গোদাগাড়ী, নিয়ম বহির্ভূতভাবে নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্ত হয়েছে এবং সমিতির কাগজপত্র ব্যবহার করে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের সুপ্রিম কোটে রিট হয়েছে। এ সংক্রান্ত কোন তথ্য বা অভিযোগ ইতিপূর্বে সমিতি কর্তৃপক্ষ দ্বারা উপজেলা সমবায় অফিসারকে অবহিত না করায় উক্ত সমিতির বিরুদ্ধে নিবন্ধন বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জানান,
রিট পিটিশন বাতিল হওয়ায় সরকার প্রতি বছর বিশাল অংকের রাজস্ব পাবে। এর ফল ভোগ করবে জনগণ।

রিট পিটিশন বাতিল হওয়ায় পুকুরগুলি ইজারা দিতে আর কোন প্রকার বাধা থাকল না।
কিছু দিনের প্রায় ৩ হাজার পুকুর ১ বছরের জন্য খাস কালেকশনের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হবে। বিগত দিনে ভূয়া চালান ধরা পড়ায় ৫৫ টি পুকুরের ইজারা বাতিল করা হয়েছে। এখন উপজেলা ভূমি অফিসের নাজিরের মাধ্যমে টাকা আদায় করে সাথে সাথে ব্যাংকে জমা দেয়া হচ্ছে এতে জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই। এখন উপজেলা ভূমি অফিসের নাজিরের মাধ্যমে টাকা আদায় করে সাথে সাথে ব্যাংকে জমা দেয়া হচ্ছে এতে জালিয়াতির কোন সুযোগ থাকবে না।

উপজেলা জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সাচিব ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শামসুল ইসলাম জানান, রিট বাতিল হওয়ায় এটা সরকারের বিশাল বিজয়। পুকুরগুলি রিট করে একটি সিন্ডিকেট বছরের পর বছর লিজ প্রদানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিনালিজে পুকুর ভোগ করেছেন।