রাজশাহী ডেস্ক: রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল থেকে প্রথম আলোর রাজশাহীর আলোকচিত্রী শহীদুল ইসলামসহ তিন সংবাদকর্মীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আলোকচিত্রীর ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ছবি মুছতে বাধ্য করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে নগরের কামারুজ্জামান চত্বরে রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে বেলা ১১টার দিকে মিছিল বের করা হয়। বেলা একটার দিকে মিছিলটি নগরের কামারুজ্জামান চত্বরে আসে। চত্বরের পাশে রেলগেটের ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন আলোকচিত্রী শহীদুল ইসলাম। তখন মিছিল থেকে কয়েকজন এসে তাঁকে ঘিরে ধরে ‘ছবি ডিলিট কর, ক্যামেরা দে’ বলতে থাকেন। শহিদুল ইসলাম তখন ছবি মুছতে গেলে তাঁর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি রক্ষা পান। এরপর তাঁর হাত থেকে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে মেমোরি কার্ড খুলে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে ক্যামেরা নিয়ে তাঁরা ভিড়ের মধ্যে চলে যান। পরে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পরিচিত একজনের মাধ্যমে ক্যামেরা উদ্ধার করেন শহীদুল ইসলাম।

একই স্থানে কাজ করছিলেন ‘এখন’ টেলিভিশনের সাংবাদিকেরা। বিক্ষোভকারীরা এখন টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন রায়হানের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি রক্ষা পান। এরপর তাঁরা ‘এখন’ টেলিভিশনের রাজশাহীর ব্যুরোপ্রধান রাকিবুল হাসানকে লাঞ্ছিত করেন। রাকিবুল বলেন, তাঁকে লাথি মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

একই সময়ে রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক সানশাইনের আলোকচিত্রী সামাদ খানের ওপর হামলা হয়। সামাদ খান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ছবি তুলছিলেন। এ সময় তাঁর ডান হাতের ওপরে পাইপ দিয়ে বাড়ি দেওয়া হয়। এতে তাঁর হাত ফুলে গেছে। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

হামলার বিষয়ে কথা বলতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়কারীর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

 

#প্রথম আলো