সম্পাদকীয়,
আব্দুল খালেক:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অতিবৃষ্টির কারণে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে ইরি ধান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার ফাজিলপুর, নলত্রী, দিগরাম, মাটিকাটা, গোগ্রামসহ বিভিন্ন ক্ষেতে কিছু কিছু কাটা ধান জমিতেই পড়ে আছে। বৃষ্টির কারণে কৃষক ধান উঠাতে পারেনি। ঠিকমত কামলাও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিনই বিকেলে বৃষ্টি হচ্ছে এবং বৃষ্টির পানি জমিতেই জমে আছে। গত ২৬ মে পুরো দিন বৃষ্টি হয়েছে। অনেক জমিতে গিয়ে দেখা যায় ধানে নতুন করে গাছ বের হয়েছে। এতে করে কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় আছেন। বিশেষ করে গরিব কৃষকদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। ২৭ মে সকাল ৮টার দিকে বিভিন্ন জমিতে গিয়ে দেখা যায় জমিতেই খড়সহ ধান পড়ে আছে এবং ধানগুলো থেকে নতুন করে গাছ বের হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কিছু কিছু কৃষকদের চরম ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে।
যে সকল কৃষক আবহাওয়া আঁচ করতে পেরে খড় বাদে শুধু ধানগুলো মাড়াই করে নিয়েছে তারাই দুর্ভোগ থেকে রেহায় পেয়েছে। আর যারা খড়ের দাম বেশি ভেবে ধান খড় দুটোই পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিলেন তারাই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বলে কতিপয় কৃষক জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, গোদাগাড়ীতে মোট ১৪ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমির মধ্যে ১৪ হাজার ৪৪৪ হেক্টর জমির ধান কর্তন করা সম্ভব হয়েছে। বাকী ২৯১ হেক্টর জমির ধান কৃষক এখনো তুলতে পারেনি। অর্থাৎ কৃষক ৯৮% ধান কর্তন করে ঘরে তুলেছে আর ২% কৃষক ধান এখনো কাটতে কিংবা মাড়াই করতে পারেনি। আমরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি যাতে করে কৃষক দ্রুত ধান বাড়ীতে তুলতে পারে।