সাইদ সাজু, তানোর থেকেঃ

রাজশাহীর তানোরে আলু বীজ নিয়ে প্রতারনায় পথে বসছেন ১০ প্রান্তিক আলু চাষী। প্রতারনার স্বীকার অসহায় সহজ সরল ১০ কৃষক থানায় অভিযোগ করতে গেলে তানোর থানা পুলিশ রহস্য জনক কারনে অভিযোগ নেননি। পরে ১লা জানুয়ারী ওই প্রান্তিক ১০ কৃষক প্রতিকার চেয়ে ২ প্রতারকের বিরুদ্ধে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারনার স্বীকার ওই ১০ প্রান্তিক আলু চাষী।

তবে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ওই ১০ আলু চাষীর ২৭ বিঘা জমিতে রোপন করা বীজের গাছ বের না হওয়ায এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগ ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে যখন বীজের সংকট দেখা দেয়, তখন রাজশাহী তানোর উপজেলার সরনজাই ইউপির মন্ডলপাড়া ও ইটক্যালপাড়া গ্রামের অসহায় সহজ সরল ১০ প্রান্তিক কৃষককে টার্গেট করে দিনাজপুরের উন্নত মানের আলু বীজ ৯০ টাকা কেজি দাম মিটিয়ে ২৭ বিঘা জমির জন্য ৭ হাজার ৫শ’ ৬০ কেজি ( যার মোট মুল্য ৬লাখ ৮০হাজার ৪শ’ টাকা) খাওয়ার আলু বীজ বলে দেন একই ইউপি খাঁ পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম মিঠু ও একই গ্রামের মৃত মুন্তাজ আলীর মাইনুল ইসলাম। সরজমিনে মন্ডলপাড়া ও ইটক্যালপাড়া আলুর মাঠে গিয়ে দেখা গেছে ৩৯ দিন আগে জমিতে আলু রোপণ করা আলু বীজের কোন গাছ বের হয়নি। যা দু’ একটা বের হয়েছে তাতে ফলন হবেনা।

অপর দিকে একই সময়ে পার্শ্বের জমিতে রোপন করা বীজে আলু গাছ বেশ সুন্দর ও জমি ভরে গেছে গাছে। ফলে, প্রান্তিক ওই ১০ কৃষকের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি পথে বসছেন ওই ১০প্রান্তিক আলু চাষী বরে মন্তব্য করেন পার্শ্বের জমির অন্য কৃষকসহ গ্রামবাসী।

ভুক্তভোগী ওই ১০ প্রান্তিক কৃষক বলেন, ব্যাংককে লোন করে এবং এনজিও থেকে লোন নিয়ে পুরোটাই আলুর জমিতে খরচ করেছি (প্রতি বিঘায় ৭০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ করেছি) আলু গাছ বের হয়নি অন্যদিকে কিস্তির টাকা ও লোন কি ভাবে পরিশোধ করবো বলে হাউ মাউ করে কাঁদতে শুরু করেন ক্ষতিগ্রস্থ ওই চাষীরা। তারা ওই ২ প্রতারকের শাস্তির দাবিসহ ক্ষতি পুরন দাবি করেছেন।

এবিষয়ে আলুর বীজ বিক্রয়কারী মিঠুর সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দিনাজপুরে আলুর বীজ কিনতে গিয়েছিলাম আমার নিজের জন্য, এসময তারা আমার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে দাম মিটিয়ে আলু নিয়েছে। গাছ বের হলো কি না তাতে আমার কিচ্ছুই করার নেই বরে জানান তিনি। এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম বলেন, কৃষকের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্হথা নেযা হবে বলে জানান তিনি।