আব্দুল খালেক, গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অবৈধভাবে ভোটকেন্দ্র দখল, প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৫ আগষ্ট, রবিবার গোদাগাড়ী মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান।

কেন্দ্র দখল ও প্রকাশ্যে সিল মারার অভিযোগে গোদাগাড়ী উপজেলার ডোমকুলি গ্রামের বিএনপি নেতা তাহাসেন আলী বাদী হয়ে ১ টি মামলা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা এবং গুলিবর্ষণের অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেন উপজেলার ফরাদপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আবদুল হামিদ ওরফে (বাবলু)।

এজাহার অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লস্করহাটি ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা এবং ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ গুলিবর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।

সাবেক সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীর অবৈধ কেন্দ্র দখল, সিল মারা ও হামলাসহ গুলিবর্ষণ করেন। ১টি মামলায় ওমর ফারুক চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা–কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৫০-৬০ জনকে।

আরেকটি মামলায় সাংসদ ফারুক চৌধুরীসহ আওয়ামীলীগের ৪৪ নেতা–কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৫০০-৬০০ জনকে।

গোদাগাড়ী থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, মামলা দুটিতে সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
সেই সাথে অয়েজ উদ্দীন বিশ্বাস, আব্দুর রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম, নাসিমসহ মূল দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নাম বলেন।

আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।