আব্দুল খালেক: গোদাগাড়ী উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে গেল মহান বিজয় দিবস। শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনটির শুভ সূচনা করেন গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত।

গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় মেলার আয়োজন করা হয় । বিজয় মেলায় বিভিন্ন পুরোনো দিনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়।

এর মধ্যে সাংবাদিকদের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক পরামর্শ , এস.কে কম্পিউটারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ, গরুর গাড়ীর প্রদর্শনী, নকশী কাঁথার প্রদর্শনীসহ কুটিরশিল্পের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত ফিতা কেটে বিজয় মেলার শুভ উদ্বোধন করেন।

পরে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত ও উপজেলা কমিশনার ভূমি শামসুল ইসলামসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা স্টল বিজয় মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।

মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশে একটি বিশেষ দিন হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সর্বত্র পালন করা হয়। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়। নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

এ উপলক্ষ্যে প্রতি বছর বাংলাদেশে দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়। ১৬ ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা ঘটে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন দেশটির রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী। এই কুচকাওয়াজ দেখার জন্য প্রচুরসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে থাকেন।