হাফিজুল হক, সাপাহার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
চাল আমদানি নয় ভবিষ্যতে আমরা চাল রপ্তানি করবো বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি।এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবেনা।
আজ রবিবার দুপুরে সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় “কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ ” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ অবিহিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি প্রণোদনা দিয়ে- ভর্তূকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তি বান্ধব করতে নিরলস করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি হয়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।
পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে।কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না।
দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পন্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা। উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ,ওএমএস ও টিসিবির ভর্তূকি মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান হোসেন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান
নঈমুদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মাসুদ রেজা সারোয়ার,উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন এবং শিরন্টি ইউনিয়নপরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ/২০২৪-২৫ মৌসুমে আমন প্রণোদনা হিসাবে ১২১০ জন কৃষকের প্রত্যেকে ৫ কেজি বীজ,১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা বিতরণ করা হয়।