প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা তানোরে হালদার পাড়ায় ৭টি পরিবারের বাড়ি দখলের চেষ্টা

তানোরে হালদার পাড়ায় ৭টি পরিবারের বাড়ি দখলের চেষ্টা

194
0

সাইদ সাজু, তানোর থেকে : রাজশাহীর তানোরে হালদার পাড়ার ৭টি হালদার পরিবারের বাড়ি দখলের চেষ্টা করছে প্রভাবশীলীরা। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপি এলাকার রাতৈল হিন্দু পাড়া গ্রামে। প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে কোথাও কোন অভিযোগ করারও সাহস পাচ্ছেন না হালদার পাড়ার হালদার পরিবারগুলোর সদস্যরা। ফলে, আতংকসহ উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সংখ্যালঘু পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, রাতৈল মৌজায় ৪৩০ ও ৪৩১ নং দাগের ১৬শতক জমি সরকারী ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত। উক্ত জমিতে বাপ দাদার আমল থেকে মৃত চেরু হালদারের পুত্র রবি হালদার, মৃত বাদল হালদারের পুত্র কার্তিক হালদার, মৃত অধীর হালদারের পুত্র কৃষ্ণ হালদার, মৃত সুখেন হালদারের পুত্র জগন্নাথ হালদার, সুবাস হালদারের পুত্র সুশীল হালদার, গোবিন্দ হালদালের পুত্র দিনা হালদার, মৃত সনত হালদারের পুত্র লক্ষন হালদার ও কালীপদ হালদারের পুত্র নিশিপদ হালদারসহ ৭টি পরিবারের লোকজন দীর্ঘ প্রায় ৬০/৭০বছর ধরে অনুমতী দখল মুলে বাড়ি ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছিলেন।

এরই মধ্যে গত কয়েকদিন থেকে রবি হালদার ও কার্তিক হালদার মাটির বাড়িঘর সংস্কারসহ ইট দিয়ে পাকা বাড়ি নির্মান শুরু করেন। এ অবস্থায় হঠাৎ গত কয়েকদিন থেকে তানোর উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের সহায়তায় চারঘাট উপজেলার নন্দন গাছী গ্রামের জৈনক ব্যাক্তির পুত্র অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন তার লোকজন নিয়ে হালদার পাড়ায় এসে ওই ১৬শতক জমি তার নিজের দাবি করে তাদেরকে ঘরবাড়ি সংষ্কারসহ নতুন ভাবে বাড়ি নির্মানে বাধাসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ উচ্ছেদের হুমকি প্রদান করেন। এঘটনায় ওই হালদার পাড়ার পরিবারগুলোর মধ্যে আতংকসহ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

এবিষয়ে হালদার পাড়ার কার্তিক হালদার বলেন, বাপ দাদার আমল থেকে এই খাস জমিতে আমরা অনুমতি দখল মুলে ঘর বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছি। হঠাৎ গত কয়েকদিন থেকে গিয়াস মাষ্টার ও ফজলুর রহমান তাদের বাড়িঘর সংস্কার করাসহ পাকা বাড়ি নির্মানে বাধা প্রদান করেন। তিনি বলেন গিয়াস ও ফজলুর কি মুলে জমির দাবি করছেন তা তাদেরকে বলছেন না কোন কাগজপত্র দেখাচ্ছেন না শুধু বলছেন তোমরা এই জায়গা খালি করে অন্যত্র চলে যাও।

এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গিয়াস উদ্দীন ও ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলবেন না জানিয়ে তারা সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।

তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।