প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা যাদের পরিচালনায় বাস চলে, তাদের সংসার চলছেনা…

যাদের পরিচালনায় বাস চলে, তাদের সংসার চলছেনা…

184
0
ইয়াহিয়া খান রুবেল, গোমস্তাপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ :
বাস স্ট্যান্ডে সব সময় যাত্রীর ভীড় লেগে থাকতো। পিঠে, হাতে নয়তো মাথায় ব্যাগ নিয়ে  মানুষের যাওয়া – আসায় মূখরিত থাকতো । চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ড।  তবে দেশে করোনা শুরু হবার কয়েকদিন থেকে বাসস্ট্যান্ডের ছবি এখন ভিন্ন। নেই কোন কোলাহল, রাস্তায় বাস ও টিকিট কাউন্টার ঘিরে নেই কোন ব্যস্ততা মানুষের। করোনার জন্য  লকডাউনে ঢাকাগামী বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বাস চলাচল না করায়, বাস স্ট্যান্ড ঘিরে যে সমস্ত ছোট ছোট চায়ের দোকান, হোটেলগুলো ছিল সে সবও বন্ধ। সব চেয়ে করুণ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন ঢাকা বাস স্ট্যান্ডের কোচ মাস্টাররা। ঢাকাগামী বাসগুলো যাদের পরিচালনায় যাতায়াত করে তাদের কোচ মাস্টার বলা হয়।
বর্তমানে গোমস্তাপুর উপজেলার প্রায় ৭০ জন মাস্টার ও  সহকর্মী রয়েছে।
করোনাকালে কয়েক দফায় আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকার জন্য বেকার হয়ে পড়েছেন ঢাকা কোচ মাস্টাররা। আয় উপার্জন নেই বললেই চলে। ঢাকা কোচ মাস্টার সমিতির গোমস্তাপুর উপজেলার মাস্টার ও সহকর্মীদের অনেকেই তাদের পরিবহন সংশ্লিষ্ট পেশা ছাড়ার কথা চিন্তা করছেন। কেউ কেউ যা কাজ পাচ্ছেন হাতের কাছে, তাই করার চেষ্টা করছেন।
করোনার সময়ে মানবেতর জীবন যাপন থেকে মুক্তিপেতে গোমস্তাপুর উপজেলা  ঢাকা কোচ মাস্টার সমিতির সকল সদস্য  প্রধানমন্ত্রীর কাছে  আর্থিক প্রণোদনা পাওয়ার জন্য  আবেদন করেছেন। ঢাকা কোচ মাস্টার গোমস্তাপুর উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছর ৪ মাস এবং এবারের প্রায় ৪ মাস  ঢাকা কোচ বন্ধ। তাই কোন আয়ও নেই। এজন্য খুব টানাপোড়েন ও আর্থিক সমস্যায় সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। বলেন,  বর্তমানে সমিতির অফিস ঘরের ভাড়া বাকি পরে আছে।  গতবছর ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে উপজেলা প্রশাসনের নিকট সাহায্যের জন্য আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত তারা কেউ সহযোগিতা পাননি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি  তাদের দাবি, সুদৃষ্টি যেন দেয়া হয় কোচ মাস্টার ও সহকর্মীদের।