গোদাগাড়ী প্রতিনিধি :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাড়ি থেকে এক খামারির দুইটি ফিজিয়ান জাতের গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ১৫জুলাই সোমবার দিবাগত রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার ৭ নং দেওপাড়া ইউনিয়নের সারোইল গ্রামে ঘটে। চুরি হওয়া গরুর মালিকের নাম মোখলেসুর রহমান মুকুল। সে গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের বিয়ানা দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত। খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে প্রেমতলী ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। গরুর মালিক মোখলেসুর রহমান মুকুল জানান প্রতিদিনের ন্যায় গরুর ঘরে তালা মেরে ঘুমিয়ে যান রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে বাইরে মানুষের চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পান এ সময় গরুর গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন গোয়াল ঘরে তার গরু দুটো নেই, এবং বাইরে থেকে শিকল মারা। এ সময় বাড়ির মেন দরজা খুলে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে দেখতে পান একটি মিনি পিক আপ ভ্যানে করে ৮ /১০ দশজনের একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল তাদের প্রত্যেকের কাছে দেশী অস্ত্র ছিল তারা পিকআপে করে গরু নিয়ে চলে যায়। রাস্তায় আমি সহ গ্রামবাসীরা ধাওয়া করেও কোন কাজ হয়নি। চুরি হাওয়া গুরু ২টির মূল্য আনুমানিক তিন লক্ষ টাকা বলে জানান গরুর মালিক মোখলেসুর রহমান মুকুল । মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গরুর মালিক মোখলেসুর রহমান মুকুল প্রেমতলি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য অবস্থান করছিলেন।
এদিকে গত ১১/৭/২০২৪ইং তারিখে গোগ্রাম ইউনিয়নের ফরহাদপুর। এর উত্তরে বারুইডাঙ্গা নামক গ্রামে শাহজাহান নামের এক ব্যক্তির ৫টি গরু চুরি ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া ৬/৬/২০২৪/৭ নং দেওপাড়া ইউনিয়নের খারিজাগাতী মোল্লাপাড়া (বালু টুঙ্গী) গ্রামের সুজাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির দুইটি হালের বলদ চুরির ঘটনা ঘটেছে ।
উল্লেখ্য যে ৪০ দিনের ব্যবধানে গোদাগাড়ীর প্রেমতলি ফাঁড়ির অধীনস্থ এলাকায় ৩ টি চুরির ঘটনায় ৩ জনের ৯টি গরু চুরির ঘটনা ঘটলো । এসব চুরির ঘটনায় গরুর মালিকরা চরম আতঙ্কিত, অনেকে রাত জেগে গুরু পাহারা দিচ্ছে। একাধিক গরুর মালিক জানান কয়েক বছর ধরে গোদাগাড়ীর আনাচে-কানাচে একাধিক গরু চুরির ঘটনা ঘটলেও একটিও গরু উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসনের কেউ।
এসব চুরির ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ জনগণের মধ্যে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রেমতুলি ফাড়ি পুলিশের ইনচার্জ ওসমান গনি জানান মোখলেসুর রহমান মুকুলের গরু চুরি ঘটনাটি তদন্ত করছি অন্য দুটির বিষয়ে আমি অবগত না কেউ আমাকে অবগত করে নাই, হয়তো গোদাগাড়ী থানাকে অবগত করতে পারে বলে জানান প্রেমতলী ফাড়ি পুলিশের ইনচার্জ ওসমান গনি।