قَاتِلُوۡهُمۡ یُعَذِّبۡهُمُ اللّٰهُ بِاَیۡدِیۡكُمۡ وَ یُخۡزِهِمۡ وَ یَنۡصُرۡكُمۡ عَلَیۡهِمۡ وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۴﴾
আব্দুল খালেক: তোমরা কাফিরদের সাথে যুদ্ধ কর। তোমাদের হাত দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের শাস্তি দেবেন, তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন, তাদের উপরে তোমাদেরকে আল্লাহ সাহায্য করবেন এবং মুমিন মুজাহিদদের অন্তরে আল্লাহ প্রশান্তি দান করবেন। সূরা তাওবা-১৪
আমরা যারা বলছি গাজাকে আল্লাহ রক্ষা করবেন, তাদের এ আয়াতটি ভালোমত পড়া দরকার। আল্লাহ যদি রক্ষা করে তাহলে কেন আল্লাহ উপরোক্ত কথাগুলো বললেন? আল্লাহ আপনার হাত দ্বারা কাফির, জালিমদের শাস্তি দিবেন বলে জানিয়েছেন। আপনার হাত দ্বারা তাদেরকে আল্লাহ লঞ্ছিত করবেন এবং তাদের উপরে মুজাহিদদের আল্লাহ সাহায্য করবেন এবং আপনি যে তাদেরকে মারবেন এজন্য আপনার আন্তরকে আল্লাহ প্রশান্তি দান করবেন।
তাই বন্ধরা! আজ গাজাকে নিশ্চিন্ন করা হচ্ছে কাল যে আপনার বাড়ীতে তারা বোমা ফেলাবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই সে জন্য আল্লাহ বলেছেন
وَ اَعِدُّوۡا لَهُمۡ مَّا اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ قُوَّۃٍ وَّ مِنۡ رِّبَاطِ الۡخَیۡلِ تُرۡهِبُوۡنَ بِهٖ عَدُوَّ اللّٰهِ وَ عَدُوَّكُمۡ وَ اٰخَرِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِهِمۡ ۚ لَا تَعۡلَمُوۡنَهُمۡ ۚ اَللّٰهُ یَعۡلَمُهُمۡ ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ یُوَفَّ اِلَیۡكُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ ﴿۶۰﴾
আর কাফিরদের মুকাবিলার জন্য তোমাদের সাধ্য অনুযায়ী শক্তি সঞ্চয় কর। অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত কর। এর দ্বারা আল্লাহ আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুরা ভিত সন্ত্রস্ত হবে। এবং এরা ছাড়া অন্যদেরাও ভিত সন্ত্রস্ত হবে, যাদেরকে তোমরা জান না, আল্লাহ তাদেরকে ভালো জানেন। আর তোমরা যা আল্লাহর রাস্তায় খরচ কর, তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে দিয়ে দেয়া হবে, আর তোমাদের উপর যুলম করা হবে না।
یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ حَسۡبُكَ اللّٰهُ وَ مَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۶۴﴾
হে নবী, তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং যেসব মুমিন তোমার অনুসরণ করেছে তাদের জন্যও।
তাই আমরা মুসলমান হিসেবে সর্বদা প্রস্তুতি অর্জন করি। আজকে গাজাকে মারছে কাল আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে বোমা নিক্ষেপ করবেনা তার কোন মানে হয় না। তাই মুসলিম সর্বদা প্রস্তুতি নিয়ে থাকবে এটাই শ্রেয় এবং কুরআন হাদীস থেকে এটিই বুঝা যায়।